<p>কমলাপুরে ট্রেনের ভেতর আসমা খাতুন নামের এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলার আসামি মারুফ হোসেন বাধন (১৯) দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বিকেলে তাকে রিমান্ড চেয়ে ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু বাধন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি রসু বণিক এ তথ্য জানান।</p> <p>জানা গেছে, বাধন তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, দুই বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের জের ধরে বাধন গত ১৯ আগস্ট তাকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে করে ঢাকায় নিয়ে আসে। ওই দিন ভোরে ঢাকায় এসে কমলাপুর রেলস্টেশনে নামে। নামার পর থাকার জন্য আবাসিক হোটেল খুঁজতে থাকে, কিন্তু কোনো হোটেলে রুম ভাড়া পায়নি। এরপর কমলাপুরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে হোটেলে খাওয়াদাওয়া করে। একপর্যায়ে স্টেশনের ওয়াশফিল্ড এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রেনের বগিতে তাকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর সে কান্নাকাটি করতে থাকে। এতে বাধন ভয় পায়। তখন কী করবে মাথায় আসছিল না। তাকে চুপ করতে বলে। আসমা চুপ না করায় তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর বাধন সেখান থেকে বের হয়ে খিলগাঁওয়ে যায়। এরপর গাবতলীতে গিয়ে বাসে চড়ে পঞ্চগড়ে চলে যায়।</p> <p>উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াশ ফিল্ড এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রেনের বগি থেকে মাদরাসাছাত্রী আসমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক জানান, তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়। গত ১৮ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল পঞ্চগড় সদর উপজেলার ওই মাদরাসাছাত্রী। এ ঘটনায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।</p>