দিল্লিতে গতকাল বুধবার ভারতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের তরফ থেকে সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় আনার প্রস্তাব করা হয়। এতে সম্মত হয় ভারতীয় পক্ষ।
গতকাল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দেশের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এতে দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এক দেশ আরেক দেশের সহযোগিতা কামনা করেছে। গতকাল সন্ধ্যার আগে বৈঠকটি শুরু হয়ে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটে শেষ হয়।
বৈঠকে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এ উদ্দেশ্যে দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশের সীমানা বা ভূমি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ অন্য কোনো দেশের ক্ষতিসাধন করতে না পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের গৃহীত নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমনের প্রয়োজনীয়তার কথা দুই মন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়।
বৈঠকে যোগ দিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ১৬ জনের প্রতিনিধিদল ভারতে যায়। প্রতিনিধিদলে আছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব, আইজিপি এবং বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
এডিস,দমনে মাঠে,আনসার,গ্রাম প্রতিরক্ষা,বাহিনী
মন্তব্য