<p>রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে শুধু জামায়াতকে নয়, বিএনপিকেও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তারাই যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেছে। মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদের ক্ষমা চাইতে হবে আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্য। ক্ষমা না চাওয়ার কারণেই দেশবাসী তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।</p> <p>গতকাল রবিবার রাতে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সরকারি দলের মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।</p> <p>নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল, তারাই জঙ্গি সৃষ্টি ও অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিল। জনগণ সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে তা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ফুটে উঠেছে। গত ১০ বছরে দেশের নৌপরিবহন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের নদ-নদীগুলো মৃতপ্রায় অবস্থায় গিয়েছিল। এখন সেগুলোর জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকার চারপাশের চারটি নদী ও কর্ণফুলী নদীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অভিযান চলছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আপসহীন; ফলে কোনো শক্তিই অবৈধ দখলদারদের রক্ষা করতে পারবে না। নৌপরিবহনব্যবস্থা সচল করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।</p> <p>মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল দেশ রক্ষার নির্বাচন। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ রায় দিয়েছে—বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই, বঙ্গবন্ধুর রক্তের কোনো বিকল্প নেই।</p>