<p>সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু মারা গেলে সেই নবজাতকের মৃতদেহের গলা গেটে পূজা করলে ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী হওয়া যাবে। এমন ভয়ংকর কুসংস্কারের গুজব শুনে বিশ্বাস করে পাঁচ কিশোর। যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর। জন্মের পরই মারা যাওয়া এক শিশুর খবর সংগ্রহ করে তারা। যে শ্মশানে শিশুটির মৃতদেহ সমাহিত করা হয় সেখানে রাতের আঁধারে গিয়ে লাশ তুলে গলা কেটে ফেলে তারা। এরপর সিদুর চন্দন দিয়ে পূজা শুরু করে। তবে শ্মশান কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের তৎপরতায় এই ‘নির্মম সংস্কারকাণ্ড’ শেষ হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পাঁচ কিশোরকে আটক করে।</p> <p>রাজধানীর শ্যামপুরের পোস্তগোলা এলাকার শ্মশানঘাটে সোমবার গভীর রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে। পরে হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নবজাতকের খণ্ডিত মৃতদেহ আবারও সমাহিত করা হয়। মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পাঁচ কিশোরকে। পুলিশ ও হিন্দু ধর্মীয় নেতারা বলছেন, কিশোররা কুসংস্কারের একটি ভয়ংকর গুজব শুনে বিশ্বাস করে কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। এর পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হবে।</p> <p>শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, রাজধানীর পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজার কবিরাজ গলির একটি বাসায় থাকেন হিন্দু দম্পতি রাবিন্দ্র দোহা ও সবিতা রানী। গত সোমবার গ্রীন রোডের গ্রীনল্যাব হাসপাতালে সবিতা কন্যাসন্তান জন্ম দেন। নবজাতকটি জন্মের এক ঘণ্টা পরই মারা যায়। পরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুসারে নবজাতকটিকে রাতেই শ্যামপুরের শ্মশানঘাটে সমাহিত করা হয়। ওই রাতেই শাঁখারীবাজার থেকে আসা পাঁচ কিশোর শিশুটিকে কবর থেকে তোলে। এরপর জবাই করে সিদুর ও চন্দন দিয়ে পূজা শুরু করে।</p> <p>ওসি আরো জানান, রাত ৩টার দিকে পুলিশ ও স্থানীয় পূজা উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরদের এই নিষ্ঠুর কাণ্ড বন্ধ করেন। ওই সময় পাঁচ কিশোরকে আটক করা হয়। হিন্দু ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী নবজাতকের মৃতদেহটি আবার সমাহিত করা হয়।</p>