<p>রাজবাড়ীতে প্রেমের অভিনয় করে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই সময় ধর্ষণ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণও করা হয়। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবিও করা হয়েছে। এসব অভিযোগে আদালতের নির্দেশে গতকাল সকালে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় রাজবাড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সেখের ছেলে ইমরান সেখ (২২) ও তার বড় ভাই ইবাদুল সেখকে (২৫) আসামি করা হয়েছে।</p> <p>মামলার বাদী ওই ছাত্রীর মা জানান, স্কুলে যাওয়া-আসার পথে তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ইমরান সেখ। ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে ওই ছাত্রীকে ইমরান তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় ধর্ষণ দৃশ্য ইমরান তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে মেয়েটি ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তিনি ঘটনাটি ইমরানের পরিবারকে জানান। তারা ইমরানের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ইমরান মাঝে মধ্যেই ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকে। এরই মধ্যে ইমরান মালয়েশিয়া চলে যায়। পরে ইমরান তার বড় ভাই ইবাদুলের কাছে ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠিয়ে দেয়। ইবাদুল সেই ভিডিও ক্লিপ পেয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে।</p> <p>ইমরান মালয়েশিয়া থেকে এলাকার বখাটেদের কাছেও ওই ভিডিও ক্লিপ পাঠায়। গত ৩০ আগস্ট ওই মেয়ে ও তার মা ইমরানদের বাড়িতে গেলে তাদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই দিন মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা  করেন।</p>