<p>ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে একই কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর মা কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ হাসানের কাছে অভিযোগ করেছেন এবং মামলা দায়েরের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে এফিডেভিট দিয়েছেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ ছুটিতে থাকায় মামলা হয়নি।</p> <p>অভিযুক্ত আল-অমিন মাঝি নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান মাঝির ছেলে। তিনি বছরখানেক আগে ঝালকাঠি মহিলা কলেজে যোগ দেন।</p> <p>অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতিত ওই ছাত্রী ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কয়েক মাস আগে ক্লাস নেওয়ার সুবাধে আল-আমিন মাঝি ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন। পরীক্ষার ফল বের হলে আল-আমিন ছাত্রীকে ফোন করে মহিলা কলেজে এনে বলেন, ‘তুমি ভালো রেজাল্ট করেছো। তুমি মেডিক্যালে ভর্তির পরীক্ষা দেও। আমি তোমাকে সব রকমের সহযোগিতা করব।’ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আল-আমিন প্রায়ই ওই ছাত্রীকে বরিশাল-ঝালকাঠির বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও মহিলা কলেজ সড়কের বাসায় নিয়ে কৌশলে শ্লীলতাহানি করেন। সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি ঝালকাঠি শহরের নোহা গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন কয়েকজন সাংবাদিক রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলে আল-আমিন সটকে পড়েন। এ খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।</p> <p>অভিযোগের বিষয়ে আল-আমিন মাঝির বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি।</p> <p>ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর খান বলেন, ‘ওই ছাত্রীর মা আমার কাছে মৌখিকভাবে আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। আমি আল-আমিনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।’</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল-আমিন মাঝি একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তাদের সর্বনাশ করেছেন। একই কলেজের আরো পাঁচ-ছয়জনের শিক্ষক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ রয়েছে।</p> <p> </p>