<p>ভোলায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে আনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় আনোয়ারার বোন পরিচয়দানকারী হালিমা খাতুন ও হালিমার স্বামী মো. ফিরোজকেও আটক করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।</p> <p>পুলিশ জানায়, আনোয়ারার পাসপোর্ট করাতে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা ও সচিব নিরব হোসাইন স্বাক্ষরিত জন্মনিবন্ধন সনদসহ তাকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসে ফিরোজ ও হালিমা। তাদের দেখে সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের লোকজনের। পরে তারা তিনজনকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।</p> <p>পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ জানিয়েছে, তার বাড়ি রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। চট্টগ্রামে গাড়ি চালায় সে, আর তার স্ত্রী হালিমার বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাহ এলাকায়। আনোয়ারার মা-বাবা কেউ জীবিত নেই। চট্টগ্রাম থাকার সুবাদে আট বছর আগে আনোয়ারাকে কক্সবাজারের রামু থেকে লালমোহনে এনে লালন-পালন করছে। তাকে সৌদিপ্রাবসীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট করাতে নিয়ে আসে।</p> <p>সদর মডেল থানার ওসি মো. ছগির মিঞা বলেন, ফিরোজ ও হালিমার বাড়ি বাংলাদেশে—এতে কোনো সন্দেহ নেই।</p> <p>তবে আনোয়ারা বেগম রোহিঙ্গা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রোহিঙ্গা প্রমাণ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>