<p>রাজশাহীর দুর্গাপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যবসায়ী কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তাঁর ইটভাটাই দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পৌর আওয়ামী লীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার পর আরো ভয়ে আছেন ভোলানাথ ঘোষ নামের ওই ব্যবসায়ী। এই সুযোগে ইটভাটার ইট বিক্রি করে দিচ্ছে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফসহ তাঁদের বাহিনী। প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে এ অবস্থা।</p> <p>ব্যবসায়ী ভোলানাথ ঘোষ জানান, তাঁর বাড়ি জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে। প্রায় ছয় বছর ধরে তিনি দুর্গাপুরের কিশোরপুরে ইটভাটা দিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। মাঝে আর্থিক সমস্যায় পড়ে তিনি ইটভাটায় থাকা ইটের ওপর কিছু টাকা দাদন নেন স্থানীয় কয়েকজনের কাছ থেকে। ওই ব্যক্তির সুদসহ সাত লাখ টাকার মধ্যে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। ইটভাটায় থাকা প্রায় ১৫ লাখ ইট বিক্রি করে বাকি এক লাখ টাকা পরিশোধের পাশাপাশি তাঁর ব্যবসা করার কথা ছিল।</p> <p>ভোলানাথ অভিযোগ করেন, ওই অবস্থায় গত ৩০ মার্চ দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, নাজমুল হক, কুদ্দুস ও হামিন মিলে তাঁকে তুলে নিয়ে হামিনের বাড়িতে আটকে রেখে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আজাহার ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাঁর কাছ থেকে জোর করে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয় সে সময়। এর পর থেকে ওই ইটভাটা দখলে নিয়ে আজাহার ও শরিফ বাহিনী ইচ্ছেমতো ইট বিক্রি করে দিচ্ছে। ইটভাটার দখল নিতে গেলে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে তারা। ভয়ে ভোলানাথ আর ইটভাটায় যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। ভোলানাথ অভিযোগ করেন, মামলা করার পর থেকে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আজাহার বাহিনী। এই অবস্থায় গত শনিবার বিষয়টি মীমাংসা করার নাম করে ভোলানাথকে ডেকে নেয় আজাহারসহ তার লোকজন। ভোলানাথ তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন লোক নিয়ে ইটভাটায় গেলে আজাহার ও তার বাহিনীর লোকজন ভোলানাথকে ইটভাটার মধ্যে পিটিয়ে আহত করে।</p>