ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ওই আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) প্রার্থী হিসেবে খন্দকার হেফজুর রহমান ওরফে হেফজুল বারী নির্বাচন বাতিল চেয়ে এই আবেদন করেছিলেন।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বিজ্ঞাপন
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে প্রার্থী ছিলেন জেপির হেফজুর রহমান। কিন্তু তথ্য গোপনের দায়ে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আনিসুল হক। ওদিকে প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন হেফজুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, আনিসুল হক দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান আইন উপদেষ্টা ছিলেন। মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময়ও তিনি ওই পদে ছিলেন। লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে তিনি সরকারের আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করেছেন। তাই সরকারি সুবিধা নিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ওই বছরের ১৫ মে তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন হেফজুর রহমান।
আইনমন্ত্রীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পর ২৬৯ দিন তামাদি হওয়ার পর (রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর) লিভ টু আপিল আবেদন করে বাদীপক্ষে কোনো আইনজীবীও উপস্থিত থাকেননি।