স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১৭-এর জন্য মনোনীত হয়েছেন শহীদ নাজমুল আহসান। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রামের বাড়ি ছিল শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ীতে। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর শহীদ নাজমুলের এ স্বীকৃতিতে শেরপুরের বাসিন্দা ও বাকৃবি সংশ্লিষ্টরা আনন্দিত।
বিজ্ঞাপন
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, শহীদ নাজমুল আহসান ছিলেন একজন মেধাবী ও সাহসী ছাত্র। তিনি বাকৃবি তথা দেশের গর্ব। তাঁর স্মৃতিস্বরূপ বাকৃবিতে শহীদ নাজমুল আহসান হল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সহযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, ‘শহীদ নাজমুলের স্বীকৃতি আমাদের গৌরবান্বিত করেছে। আমরা একটি বড় অনুষ্ঠান করে এটা উপভোগ করব। ’
আরেক সহযোদ্ধা আবদুল খালেক বলেন, ‘সংবাদ জেনে আনন্দে চোখে পানি এসে গেছে। নাজমুল ভাই দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিলেন, সেটা বর্ণনাতীত। তাঁর স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তিতে আমরা গৌরব বোধ করছি। ’
১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি শেরপুর জেলার নলিতাবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নাজমুল আহসান। ১৯৭১ সালে তিনি বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি ১১ নং সেক্টরে ১ নং কম্পানির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ৬ জুলাই শেরপুর জেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। তাঁর লাশ সমাহিত করা হয়েছে নিজ গ্রামে।
আগামী ২৩ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পদক প্রদান করবেন।