<p>অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে প্রায় ১৫ হাজার পুল শিক্ষক নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। আদালতের ৭০টি রিট মামলার রায় বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পুল শিক্ষকদের নিয়োগের এ সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার দেশের ৬১ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে পুল শিক্ষকদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।</p> <p>একই সঙ্গে জেলা অফিসে ৭০টি রিট পিটিশনের রায়ের কপিও পাঠানো হয়। মূলত সেই পিটিশনে যাদের নাম রয়েছে তাদেরই শূন্য পদে নিয়োগ দিতে বলা হয়।</p> <p>প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মো. আব্দুর রউফ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, আদালতের রায় বাস্তবায়নে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে পুল শিক্ষকদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। ৬১ জেলা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পুল শিক্ষকদের তালিকা হতে ৭০টি রিট পিটিশনে অন্তর্ভুক্তদের তাঁর নিজ জেলায় পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে শূন্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিয়োগপূর্ব যোগদানের বিষয়েও অবহিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>জানা যায়, ২০১২ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে মৌখিক পরীক্ষায় ২৭ হাজার ৭২০ জন উত্তীর্ণ হয়। এর মধ্যে ১২ হাজার ৭০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বাকি ১৫ হাজার ১৯ জনকে অস্থায়ীভাবে পুল শিক্ষক হিসেবে রাখা হয়। মূলত শিক্ষকদের নানা ধরনের ছুটিতে, বিশেষ করে মহিলা শিক্ষকদের মাতৃত্বকালীন ছুটিতে এসব শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করতেন। এতে একজন শিক্ষককে একাধিক স্কুলেও দায়িত্ব পালন করতে হতো। এর পরও তাঁদের মাসিক বেতন দেওয়া হতো মাত্র ছয় হাজার টাকা। কিন্তু এসব পুল শিক্ষকরা স্থায়ীভাবে নিয়োগ দাবিতে একের পর এক রিট দায়ের করেন। আদালত শিক্ষকদের পক্ষে আদেশ প্রদান করেন। মূলত আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন প্রায় ১৫ হাজার পুল শিক্ষক।</p>