ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন নীতিমালা হচ্ছে

প্রভাষক থেকে অধ্যাপক হতে লাগবে ১৬ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রভাষক থেকে অধ্যাপক হতে লাগবে ১৬ বছর

প্রভাষক থেকে অধ্যাপক হতে একজন শিক্ষকের চাকরির বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৬ বছর। তবে এমফিল বা পিএইচডি না থাকলে তাঁদের সময় লাগবে ১৮ বছর। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব নিয়ম রেখে শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য অভিন্ন নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লার নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এই নীতিমালা তৈরি করেছে।

কমিটি ইতিমধ্যেই একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। সেখানেই এসব নিয়ম রাখা হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ইউজিসি এই নীতিমালা চূড়ান্ত করবে।

ইউজিসি সূত্র জানায়, খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতিতে তিন বছরের অভিজ্ঞতা ও দুটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে।

সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক হতে হলে আরো ৯ বছরের অভিজ্ঞতা ও তিনটি গবেষণা প্রবন্ধ থাকতে হবে। তবে পিএইডি বা এমফিল থাকলে লাগবে সাত বছর। আর সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হতে আরো আট বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সঙ্গে গবেষণাও থাকতে হবে।
তবে এমফিল বা পিএইচডি থাকলে আরো দুই বছর কম লাগবে। এভাবেই একজন শিক্ষককে প্রভাষক থেকে অধ্যাপক হতে ১৮ বছর সময় লাগবে। তবে এমফিল বা পিইএচডি থাকলে লাগবে ১৬ বছর।

ইউজিসির প্রণীত খসড়ার ওপর গতকাল বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে শিক্ষক নেতারা মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান তাঁর বক্তব্যে বলেন, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন নির্ভর করে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের ওপর। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের কোনো সমন্বিত নীতিমালা না থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান-বিজ্ঞানে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়।

সভায় শিক্ষক নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার মান সমুন্নত রাখা ও মেধা লালনের জন্য গ্রহণযোগ্য এবং সময়োপযোগী একটি অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা সময়ের দাবি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য দূর হবে এবং শিক্ষার মানও উন্নত হবে।

ইউজিসি সূত্র জানায়, ‘জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ইউজিসির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ প্রশাসনের কয়েকজন সিনিয়র সচিবের আলোচনা হয়। তখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইউজিসিকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়।

জানা যায়, বর্তমানে একেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে একেক নীতি অনুসরণ করা হয়। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হতে গেলে লাগে ১৪ থেকে ১৫ বছর, আবার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ বছর। শিক্ষক হতে গেলে কেউ সব পরীক্ষায়ই প্রথম শ্রেণি চায়। আবার কেউ সব পরীক্ষার মধ্যে একটি প্রথম শ্রেণি চায়। এভাবে শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় পর সবাই একই স্কেলে বেতন পেলেও একই যোগ্যতাসম্পন্ন হয় না।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ

চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
চার দফা দাবিতে গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। ছবি : কালের কণ্ঠ

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।

তাই সরকারকে অবিলম্বে দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।

দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’

প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

মন্তব্য
জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা

শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য দেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ।

মন্তব্য
শহীদ মুগ্ধর বাবা

জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে মুগ্ধর শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, তা ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে হারিয়ে ফেলেছি। যে শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল, সে কখনো জাতির পিতা হতে পারে না। তার কন্যা শেখ হাসিনাও স্বৈরাচারতন্ত্রের দানবকন্যা হয়ে উঠেছিল।
এডাস্ট বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শামসুল আলম লিটন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মুগ্ধর নামে একটি খাবার পানির কারখানা স্থাপনের ঘোষণা দেন। উৎপাদিত পানি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ প্রতীকী ম্যারাথন ছিল এবারের গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের অন্যতম অংশ। গতকাল সকাল ৭টায় এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ম্যারাথন শেষে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান আমাদের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘এই প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে আমরা অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।’

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ