১. বিস্ময় প্রকাশ : কিছু দেখে বিস্মিত হলে আমরা চোখ দুটি যেন কপালে তুলতে চাই। এটা কিন্তু দারুণ এক ব্যায়াম। ভ্রুজোড়া ওপরের দিকে তুলুন। এতে কপালের পেশির ব্যায়াম হয় এবং বলিরেখা পড়ে না।
মুখের ব্যায়ামে তারুণ্য ধরে রাখুন

২. ভ্রূকুটি : বিরক্তির প্রকাশ কিংবা রাগ প্রদর্শনে ভ্রূকুটি করি আমরা। এ কাজটি যদি ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে দিনে তিন-চারবার করেন, তবে কপালের পেশি আরাম পাবে। কপালের পেশি সহজে টানটান ভাব হারাবে না।
৩. চোখ পিটপিট করা : টানা চার সেকেন্ড ধরে চোখ পিটপিট করুন।
৪. চিবাতে থাকুন : ঠিক যেন চুইংগাম খাচ্ছেন-এভাবে চিবাতে থাকুন।
৫. বেলুন ফোলানো : দুই গাল এমনভাবে ফোলান যেন একটি বেলুন ফোলাচ্ছেন। হাসির ফলে ঠোঁটের দুই পাশে যে রেখা পড়ে, এই ব্যায়ামে তা চলে যায়। কয়েক সেকেন্ড মুখ ফুলিয়ে বসে থাকুন।
৬. চোয়ালের ব্যায়াম : চোয়ালের নিচের অংশ নিচের দিকে নামিয়ে দিন, ঠিক যেন কিছু একটা দেখে বিস্ময়ে 'হাঁ' হয়ে গেছেন। টানা ১০ সেকেন্ড এ অবস্থায় থাকলে দেখবেন দুই কানের নিচের দিকে টান অনুভূত হচ্ছে। এবার মুখ বন্ধ করুন। গোটা প্রক্রিয়া টানা ১০ বার করুন। এতে চোয়ালের ভাঁজ চলে যাবে।
৭. ঘাড়ের আড়মোড়া ভাঙা : মাথা ডানে-বামে, সামনে এবং পেছনে নিন। কয়েক সেকেন্ড করে সময় দেবেন এবং দিনে কয়েকবার করবেন। এতে গলা, ঘাড় এবং মুখের পেশি আরাম পাবে।
৮. হতভম্ব দৃষ্টি : দূরের কোনো জিনিসের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকান। এতে চোখের পেশিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে। যাদের চোখের নিচের কালি জেনেটিক কারণে পড়ে না, তাদের ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে।
৯. মাছের মতো ঠোঁট : গাল দুটি টেনে মুখের ভেতরের দিকে নিলে ঠোঁট সংকুচিত হয়ে ওপর ও নিচের দিকে চলে যায়। একে গোল্ড ফিশের মতো ঠোঁট বলা হয়। দিনে তিন-চারবার এ ব্যায়াম করলে গাল ও চিবুকের স্বাস্থ্য ভালো হবে।
১০. চুমোর ঠোঁট : একটা উড়ন্ত চুমো ছুড়ে দিচ্ছেন-এমন করুন মুখটাকে। এটা বেশ কার্যকর মুখের ব্যায়াম। মুখের চারদিকের পেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এতে পেশিগুলো সহজে স্থিতি হারায় না। কোনো ব্রেক ছাড়াই টানা চার-পাঁচবার উড়ন্ত চুমোর চর্চা করুন।
হিন্দুস্তান টাইমস অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার
সম্পর্কিত খবর

প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ
চার দফা দাবি না মানলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা অনশন
নিজস্ব প্রতিবেদক

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, পদোন্নতিসহ চার দফা দাবিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল শুক্রবার মহাসমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার দফা দাবি পূরণ করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা টানা অনশন কর্মসূচি পালন করবেন। কোথাও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।
গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা প্রাথমিকের সহকারী ও প্রধান শিক্ষকরা। সকাল ১১টার দিকে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়।
দুপুর ২টার দিকে মহাসমাবেশের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সভাপতি মো. আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্রে জেনেছি, রিট করা ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের জন্য দশম গ্রেড বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তাহলে যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের জন্য কবে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হবে? আমরা চাই, দেশের সব প্রধান শিক্ষক যেন সমানভাবে দশম গ্রেড পান। সহকারী শিক্ষকদের জন্য কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেডের প্রস্তাব দিয়েছে, অথচ আমাদের দাবি হচ্ছে ১১তম গ্রেড।’
প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি হচ্ছে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা প্রদান; ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে সব প্রধান শিক্ষকের দশম গ্রেডে পদোন্নতির সরকারি আদেশ (জিও) জারি; চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ এবং চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদান।

জুলাই শহীদ রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক-বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে : সিপিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

চব্বিশের গণ-আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ সময় সিপিবি নেতারা বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা কমিটির সদস্য শহীদ রিজভী স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।

শহীদ মুগ্ধর বাবা
জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার স্বাদ মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এডাস্ট) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সংক্ষিপ্ত
ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে প্রতীকী ম্যারাথন
নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে এক প্রতীকী ম্যারাথন গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। এই বিশেষ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বয়সের প্রতিযোগীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এক হাজার প্রতিযোগী নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতীকী ম্যারাথনটি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে গণভবন, সংসদ ভবন, খামারবাড়ি হয়ে আবারও চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।