<p> বরিশালে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রাবাসের কক্ষের দরজা ভেঙে ঘুমন্ত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের হাত-পায়ের নখ তুলে দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্যরাতে কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p> এ ঘটনায় আরো দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।</p> <p> জখম দুই শিক্ষার্থী হলেন মেহেদী হাসান ও হাফিজ উদ্দিন। আহত অন্য চারজন হলেন অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. মনিরুজ্জামান ও মো. হুমায়ুন কবির, ছাত্রাবাসসংলগ্ন দোকানের মালিক মো. শাহীন ও তাঁর ছেলে মো. রাসেল। তাঁদের সবাইকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</p> <p> ঘটনা তদন্তে কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান মো. ইউনুচকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে ছাত্রাবাসের পেছন দিকে শাহীনের দোকানে চা পান করতে যান ভোলা জেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান। এ সময় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মো. রুবেলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে তাঁকে মারধর করা হয়।</p> <p> পরে মনিরুজ্জামান ছাত্রাবাসে ভোলার শিক্ষার্থীদের খবর দিলে তারা শাহীনের দোকানে ছুটে আসে। রুবেলকে সেখানে না পেয়ে তারা দোকান ভাঙচুর করে এবং দোকান মালিক ও তাঁর ছেলেকে মারধর করে। রাত আড়াইটার দিকে ছাত্রাবাসের 'এ' ব্লকের ১১৫ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান ও হাফিজ উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ভোলার শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করে ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা ভোলার শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় হুমায়ুন কবির নামে ভোলার এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।</p> <p>  </p> <p>  </p>