ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ মহররম ১৪৪৭
হেল্‌থ কর্নার

হাঁটুর বাত : লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডা. মোহাম্মদ ইসরাত হাসান
ডা. মোহাম্মদ ইসরাত হাসান
শেয়ার
হাঁটুর বাত : লক্ষণ ও চিকিৎসা

মানুষের শরীরের ভারসাম্য রক্ষা ও ওজন সঠিকভাবে মাটিতে স্থানান্তর করার জন্য হাঁটুর ভূমিকা অনেক। এটি অত্যন্ত জটিল একটি জয়েন্ট, যা ছোট-বড় তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে তৈরি। কোনো কারণে হাঁটুতে আঘাত পেলে, বার্ধক্যজনিত কারণে, স্থূলতা অথবা হাঁটুর অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত কারণে এর অস্থিগুলোয় গঠনগত পরিবর্তন হয়ে যে রোগ হয়, তাকেই বলে হাঁটুর বাত বা হাঁটুর অস্টিওআর্থ্রাইটিস। সাধারণত ৩০ থেকে ৬৫ বছর বয়সসীমার লোকজন এ রোগে বেশি আক্রান্ত হন এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ রোগের ব্যাপকতা বাড়ে।

হাঁটুর বাতের লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের ডা. মোহাম্মদ ইসরাত হাসান

লক্ষণ : ১. এ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী দীর্ঘক্ষণ হাঁটলে বা চেয়ার থেকে উঠতে গিয়ে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় ব্যথা অনুভব করেন। ২. পায়খানায় বসার সময় বা নামাজ পড়ার সময় হাঁটুতে ব্যথা হয়। ৩. আক্রান্ত হাঁটু ফুলে যেতে পারে। ৪. ব্যথার কারণে রোগী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে পারেন।

৫. হাঁটুতে ব্যথার কারণে ঊরুর মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে পারে। ৬. সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে পরবর্তী সময়ে হাঁটু পুরোপুরি সোজা করা বা ভাঙা সম্ভব হয় না। ৭. কখনো কখনো হাঁটুর ওপরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, পানি জমে ফুলে যায়। এমনকি হাঁটু ভাঙা ও সোজা করার সময় এক ধরনের শব্দ অনুভূত হয়।

রোগ নির্ণয় : রোগের লক্ষণ বিশ্লেষণ করে হাঁটুর ব্যথা প্রদাহজনিত মনে না করলে সাধারণত কোনো রক্ত পরীক্ষা করার দরকার হয় না। তবে এক্স-রে করাতে হয়। এ ছাড়া ক্ষেত্রবিশেষে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড অ্যানালাইসিস ও এমআরআই করা লাগতে পারে।

চিকিৎসা ও করণীয়

ক. চিকিৎসা : হাঁটুর বাতের চিকিৎসা অবশ্যই একজন ফিজিয়াটিস্ট বা ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হওয়া বাঞ্ছনীয়। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে-

প্রাথমিক চিকিৎসা- ১. প্রাইস (PRICE) রেজিমেন : প্রাথমিকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য এই রেজিমেন মানা হয়।

এর মধ্যে রয়েছে কেইন ব্যবহার করে বা হাঁটুর ওপর চাপ কমিয়ে প্রটেকশন, রিলেটিভ রেস্ট, বরফ ব্যবহার, ফোলা থাকলে কমপ্রেশন এবং এলিভেশন বা পা উঁচু করে রাখা। ২. ব্যথানাশক ওষুধ : এর মধ্যে রয়েছে এসিটামিনোফেন, ওরাল এবং টপিক্যাল NSAID’s, ট্রামাডল-এসিটামিনোফেন, অক্সিকোডন ইত্যাদি। ৩. গ্লুকোসামাইন-কন্ড্রোয়টিন সালফেট এবং ভিটামিন সি। ৪. ইন্টারভেনশন ইন্ট্রা-আর্টিকুলার কর্টিকোস্টেরয়েড ইঞ্জেকশন। ৫. রিহ্যাবিলিটেশন। ৬. ব্যায়াম কোয়াড্রিসেপস মাসল স্ট্রেন্থেনিং এক্সারসাইজ ও অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। ৭. ফিজিক্যাল থেরাপি টেনস থেরাপি, ইলেকট্রিকাল স্টিম্যুলেশন। ৮. এডাপটিভ ইকুইপমেন্ট কেইন অথবা ওয়াকার। ৯. ব্রেসিং ও ফুটওয়্যার নি ক্যাপ, শু ওয়েজ ইত্যাদি।

শল্য চিকিৎসা- সাধারণত ওপরের বর্ণিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে যদি একজন রোগী ভালো না হন শুধু সে ক্ষেত্রেই শল্য চিকিৎসা করা হয়, যার খুব একটা দরকার হয় না। এর মধ্যে রয়েছে- ১. আরথ্রোস্কপিক ডিব্রাইডমেন্ট, ২. অস্টিওটমি, ৩. প্যাটেলো-ফিম্রোল রিপ্লেসমেন্ট, ৪. টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট।

(খ) করণীয় : প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ছাড়াও ভালো থাকার জন্য রোগীকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে- ১. হাঁটু ভাঁজ করে কোনো কাজ না করা। ২. চেয়ারে বসে নামাজ পড়া। ৩. উঁচু পায়খানা বা হাই কমোড ব্যবহার করা। ৪. রান্নার সময় উঁচু মোড়া বা চেয়ার ব্যবহার করা। ৫. নরম স্যান্ডেল ব্যবহার করা। ৬. অতিরিক্ত উঁচু স্যান্ডেল বা জুতা পরা। ৭. একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা না হাঁটা। ৮. উঁচুনিচু জায়গায় হাঁটাহাঁটি না করা। ৯. সিঁড়িতে, রিকশায় বা গাড়িতে ওঠার সময় যে হাঁটুতে ব্যথা কম তা আগে দেওয়া আর নামার সময় বেশি ব্যথার হাঁটু আগে দেওয়া। ১০. প্রয়োজনে যে হাঁটুতে ব্যথা তার বিপরীত হাতে হাঁটার সময় লাঠি ব্যবহার করা। ১১. ব্যথাযুক্ত হাঁটুতে কোনো কিছু মালিশ না করা। ১২. শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া। ১৩. চিকিৎসকের দেখানো ব্যায়াম নিয়মিত দিনে দুইবার করা। ১৪. চলাফেরার সময় নি ক্যাপ (Knee Cap) ব্যবহার করা।

পরামর্শ : এভাবে একজন ফিজিয়াট্রিস্টের তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা নিলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং রোগী ভালো থাকবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগে যে কেউ এ রোগের বিশেষায়িত চিকিৎসা নিতে পারেন।

 

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ এক হাজাতির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম এস এম আব্দুল হক (৭০)। গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য দেন।

তিনি বলেন, ওই কয়েদির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

আব্দুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. রোকন বলেন, নিহত আব্দুল হক খুলনার কবি ফররুখ একাডেমি মোড়ের ইমান আলী শেখের ছেলে। খুলনা কারাগারে অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিরপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৪

রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পরিচয়ে বাসায় ঢুকে ডাকাতির চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন সাবেক সেনা সদস্যও রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার বিকেল সোয়া ৩টায় মিরপুর ডিওএইচএসের ৮০৭ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় ঢোকেন পাঁচ ব্যক্তি। এই দলের সদস্যদের টার্গেট ছিল ভাড়াটিয়া বোরহানের বাসাটি।

ওই ব্যক্তিকে না পেয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, মোবাইল, ল্যাপটপসহ মূল্যবান সামগ্রী ব্যাগে ভরতে থাকেন তাঁরা। এই ব্যক্তিদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি অনুসরণ করার পর এক ব্যক্তি ডাকাত যাচ্ছে বলে আশপাশের লোকজনকে সতর্ক করেন। পরে গাড়িটি এনডিসি চেকপোস্টের কাছে পৌঁছলে সামনের আরেকটি গাড়ির কারণে তা আটকে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় পাঁচজনকেই ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।
পল্লবী থানার পুলিশের দাবি, তারা চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।

ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে করপোরাল (অব.) মুকুল জানান, মিরপুর-১০-এর এক চায়ের দোকানে তাঁর সঙ্গে হারুনুর রশিদের পরিচয় হয়। হারুন জানান, এক ব্যক্তির কাছে অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

তবে পুলিশ বলছে, এটি কোনো অভিযান ছিল না, বরং পরিকল্পিত ডাকাতি ছিল। আটক লেফটেন্যান্ট ফিরোজ ইফতেখার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসিরের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন জাস্টিস ফর কমরেডস নামের একটি সংগঠনের সদস্য। অন্যদিকে করপোরাল মুকুল সহযোদ্ধা নামের একটি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত, যা সেনাবাহিনী থেকে বিতাড়িত বা অসন্তুষ্টদের নিয়ে গঠিত। পল্লবী থানার ওসি শফিউল আলম গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, ডিওএইচএস থেকে চারজনকে আটক করে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
শেয়ার
ভোলাগঞ্জে পাথরের লোভে লাশ হলেন আরেক শ্রমিক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পর্যটনকেন্দ্র সংলগ্ন রেলওয়ের রোপওয়ের (রজ্জুপথ) সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে হাবিবুর রহমান (৩৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গত শনিবার রাতে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের বাংকার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে।

 এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি একইভাবে অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণ দেন আরেক শ্রমিক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার রাতেও রেলওয়ের রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করতে যান হাবিবুর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরো দুজন শ্রমিক।

হাবিবুর গর্ত থেকে পাথর উত্তোলন করছিলেন। বাকি দুজন মাথায় পাথর বহন করে নৌকায় নিয়ে রাখছিলেন।

কাজের এক পর্যায়ে হঠাৎ ওপর থেকে বালু ধসে পড়ে। এতে হাবিবুর বালুচাপা পড়েন। এ সময় তাঁর সঙ্গী দুজনের চিৎকারে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় হাবিবুরের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে লাশ বাড়ি নিয়ে যান।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে একই এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে বালুধসে লিটন মিয়া নামের এক শ্রমিক প্রাণ হারান। এ নিয়ে চলতি বছর রেলওয়ের রোপওয়ে বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে দ্বিতীয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা ও বাংকার এলাকার পাথর লুটপাটের পর সাদা পাথর এলাকায় গত ২৩ এপ্রিল থেকে একটি চক্র পাথর লুট শুরু করেছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রজ্জুপথটি (রোপওয়ে) বাংকার এলাকায় অবস্থিত। রোপওয়ে এলাকাই সংরক্ষিত বাংকার হিসেবে পরিচিত। ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতকে পাথর পরিবহনের জন্য স্থল বা জলযানের বিকল্প হিসেবে ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় এই রোপলাইন। এ এলাকায় টিলার মতো সামান্য উঁচু ভূমি ও সমতল মাটির নিচে আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাথর। জানা গেছে, রাতের বেলায় প্রশাসনের  কোনো নজরদারি থাকে না। তখন পাথর লুট করে বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা।

 

মন্তব্য
ডাকসু নির্বাচন

অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
অংশ নিতে পারবেন না তিন শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। সভায় উপস্থিত একজন সদস্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের ব্যবস্থা নিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

সেই তদন্ত কমিটি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ১২৮ জনকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ১২৬ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন, যাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না। পাশাপাশি শাহবাগ থানায় মামলাও করা হয়েছিল এ ঘটনা নিয়ে।
সেই মামলায় যাঁরা অভিযুক্ত আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাঁরা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে ১২৬ জনকে সামরিক বহিষ্কার করেছে, তাঁরা ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শাহবাগ থানায় যে মামলা হয়েছে তার মধ্যে এই ১২৬ জনের কেউ কেউ থাকতে পারেন।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ