ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, বুধবার ২৩ জুলাই ২০২৫
৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৭ মহররম ১৪৪৭

ভাড়া বাড়লে কমে না

শেয়ার
ভাড়া বাড়লে কমে না

পরশুরাম উপজেলার পরশুরাম-গুথুমা-নরনিয়া রুটে সিএনজি-অটোরিকশা যাতায়াতের মূল মাধ্যম। সাতকুচিয়া, বাঁশপদুয়া ও কোলাপাড়াএই তিনটি বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে পরশুরাম বাজারে যাতায়াত করা যায়। ৮-৯ কিলোমিটার এই পথে গুথুমা ১৫ টাকা, দক্ষিণ গুথুমা ২০ টাকা ও নরনিয়া ২৫ টাকা নির্ধারিত ভাড়া। কয়েক মাস ধরে কোলাপাড়া রুটে নির্মাণকাজ চলায় বাঁশপদুয়া রুটে যাতায়াত করায় ভাড়া পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।

যাত্রীরাও দূরত্ব বিবেচনায় পাঁচ টাকা বাড়তি দিয়ে যাতায়াত করতে কোনো অভিযোগ করেনি। কিন্তু এখন আগের রুট ঠিক হওয়ার পরও যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন প্রতিটি সিএনজিতে ভাড়ার তালিকা নির্ধারণ করে দেওয়া হোক।

মাজহারুল ইসলাম সৈকত

পরশুরাম, ফেনী।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

শেয়ার
ইছামতীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিন

একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী এখন সরু খালের মতো। এর পরও নদীটির ভাঙনে মানুষ ভিটামাটি হারাচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদীটির ভাঙনের শিকার হয়েছে বহু মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানকার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেছে।

কিন্তু পদ্মা নদী থেকে চোরা বালু শিকারিরা দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে বড় মেঘনা নদী দিয়ে না এসে এই ইছামতী নামের সরু নদীটিই বেছে নিয়েছে। দিনে ও রাতে শত শত বালুবাহী বাল্কহেডের ঢেউয়ের তোড়ে নদীর তীর ভেঙেই চলেছে। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকাবাসী তাদের বাড়িঘর রক্ষার্থে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে নদীর পারে এসে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।

এই নৈরাজ্য কি দেখার কেউ নেই? ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে? আমরা চাই, প্রশাসন এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিক।

 

হাজি মো. রাসেল ভূইয়া

খলিফাবাড়ী, সিপাহীপাড়া, মুন্সীগঞ্জ

মন্তব্য

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

শেয়ার
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত হোক

বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ার জটিলতা। বিশেষ করে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক ভয়াবহ মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ফলে একজন শিক্ষার্থীকে ভিন্ন ভিন্ন সিলেবাস, প্রশ্নপদ্ধতি ও সময়সূচির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। কখনো কখনো এক দিনের ব্যবধানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা থাকায় সব কটিতে অংশ নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

অন্যদিকে প্রতিটি আবেদনেই ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি গুনতে হয়, যাতায়াত ও থাকার খরচ যুক্ত হলে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। অনেক প্রতিভাবান শিক্ষার্থী শুধু অর্থের অভাবে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না।

গুচ্ছ পদ্ধতি চালু হলেও তা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি সমন্বিত পদ্ধতির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

শিক্ষাব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও সমতা আনার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়াকে সহজ ও সমন্বিত করাই এখন সময়ের দাবি।

হাসনাইন মাবরুর

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ

মন্তব্য

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

শেয়ার
জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে  প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।

ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ অবকাঠামো নেই বললেই চলে। ইটের সোলিং করা রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত হয়ে গেছে, যেখানে সহজেই পানি জমে থাকে। সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে রয়েছে। আশপাশের এলাকার পানি নামলেও ক্যাম্পাসে সঠিক নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় এখানকার পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে।
জলাবদ্ধতার তীব্রতায় কেউ কেউ বাধ্য হন জুতা হাতে, প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে।

ফখরুল ইসলাম ফাহাদ

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেয়ার
সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দুই গ্রাম খরনদ্বীপ ও চরনদ্বীপ। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব করে আসছিল প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন কেরানি বাজার সেতু। পুরনো এ সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের জন্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রায় চার কোটি ৫৬ লাখ টাকার ব্যয় নির্ধারণ করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত চার বছর আগে। অথচ চার বছরে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঈদের আগে ঠিকাদার লাপাত্তা। নির্মাণাধীন সেতুটি নির্মাণের সময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর বিকল্প হিসেবে খালের ওপর কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটিও গত ১ জুলাই থেকে দেবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সেতুটি খরনদ্বীপ শ্রীপুর থেকে শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে এখানে বড় দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়াছে এলাকাবাসী।

সাবের আহমদ রিজভী

চরনদ্বীপ, বোয়ালখালী

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ