সরকারি তথ্য মতে, কুড়িগ্রাম জেলায় দারিদ্র্যের হার ৭০ শতাংশের বেশি। কুড়িগ্রাম জেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বড় নদী ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার, জিঞ্জিরাম ছাড়াও প্রায় ১৬টি নদ-নদী রয়েছে, যার প্রায় প্রতিটি ভাঙনপ্রবণ, যা শুধু বর্ষাকালে নয়, শুকনা মৌসুমেও ভাঙে। ফলে লোকজন বসতভিটাসহ আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ২০২০ সালের তথ্য মতে, ওই বছর প্রায় ছয় হাজার ৯৯৫টি পরিবার নদীভাঙনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে, ২০২১ সালেও প্রায় একই রকম।
বিজ্ঞাপন
এসব নদ-নদীর ভাঙন প্রতিরোধ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের স্থায়ী প্রতিকার হিসেবে প্রয়োজন সমন্বিত ও টেকসই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। টেকসই নদীশাসনের সঠিক কাজ হিসেবে বোল্ডার বাঁধ ও পরিকল্পিত বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। তাই বৃহৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দরকার সরকারের আন্তরিকতা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন। তাহলেই কুড়িগ্রাম জেলা নদীভাঙন থেকে রেহাই পাবে।
আব্দুস সালাম
শিক্ষার্থী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।