শহরের রাস্তা ধরে হেঁটে চলে কুকুর। তার পেটেও মারাত্মক ক্ষুধার যন্ত্রণা থাকে। ময়লার ভাগাড় ঘুরেও অনেক সময় খাবার জুটাতে পারে না। প্রায় সময়ই দেখা যায় টি-স্টলের বাইরে দাঁড়িয়ে ছলছল চোখে মানুষের খাবার খাওয়ার দৃশ্য দেখে। খাবারের আশায় বসে থাকে বলে অনেক চা বিক্রেতা আচমকা গরম পানি ছিটিয়ে দেয় কুকুরের গায়ে। যন্ত্রণায় ছটফট করে দৌড়াতে থাকে বোবা প্রাণীটি। দগ্ধ চামড়ায় ঘা হয়ে অনেক সময় কুকুর মারা যায়। অনেক কিশোর চলতে-ফিরতে কুকুরকে ঢিল মেরে আনন্দ পায়। চিড়িয়াখানায়ও অনেক প্রাণীকে ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না বলে অভিযাগ পাওয়া যায়। অথচ সব ধরনের প্রাণীই আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রাণীর প্রতি এ ধরনের নিষ্ঠুরতা মানব মহত্ত্বেরও অবমাননা। এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ এবং প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কিছু সংগঠন কাজ করছে। তবে এমন সংগঠন এবং এদের কাজের পরিধি খুব কম। এ অবস্থায় প্রাণীদের অধিকার আদায়ে মানুষকে সচেতন ও সংবেদনশীল করে তুলতে হবে। সচেতনতা তৈরি হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে আশা করা যায়।
মাহির চৌধুরী
শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
মন্তব্য