ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

প্রসঙ্গ : কবি রফিক আজাদের সাক্ষাৎকার

শেয়ার
প্রসঙ্গ : কবি রফিক আজাদের সাক্ষাৎকার

দৈনিক কালের কণ্ঠ'র ৯ অক্টোবর ২০১৫ (শুক্রবার) সংখ্যায় কবি রফিক আজাদের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।

সাক্ষাৎকারটি পড়ে আমি অত্যন্ত বেদনার্ত হয়েছি। কারণ কবি রফিক আজাদ 'ভাত দে হারামজাদা' কবিতা লেখার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে যা বলেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি নিজেই বলেছেন, 'কবিতাটি লেখা ভুল ছিল।

' তিনি নাকি না বুঝে এটা লিখেছিলেন। যে ঘটনার কারণে তিনি এটা লিখেছিলেন, সেটা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। কোনো একজন ফটোগ্রাফার বিখ্যাত হওয়ার জন্য এক মহিলাকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করেন এবং মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে বমি খাওয়ার অভিনয় করিয়ে ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এটা সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই বলেছেন।
পত্রিকার এই মিথ্যা ছবি দেখে কবি রফিক আজাদের মনে হলো, 'কিসের স্বাধীনতা?' তারপর কোনো সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই লিখলেন 'ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।'

এই কবিতার প্রসঙ্গ তুলে তখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কত হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে! আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা এটাকে কাজে লাগিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছে। এমনকি ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পরও এই ঘটনা নিয়ে অনেক পানি ঘোলা করা হয়েছে। বিএনপি নেতা-নেত্রীরা সুযোগ পেলেই বাসন্তীর জাল পরা ছবি এবং কল্পিত দুর্ভিক্ষ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে।

প্রতিটি নির্বাচনের সময় এবং বক্তৃতা দেওয়ার সময় এটা ছিল তাদের প্রধান অস্ত্র ও প্রিয় বিষয়।

এই সাক্ষাৎকারের অন্যত্র কবি রফিক আজাদ স্বীকার করেছেন, 'বঙ্গবন্ধুর মতো লোক বলে আমিও বাঁচছি।' আমি বিএনপি নেতাকর্মীদের অনুরোধ করব, তাঁরা যেন সাক্ষাৎকারটি পড়েন। আর কবি রফিক আজাদকে অনুরোধ করব, তিনি যেন প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে কেউ যেন এ রকম মিথ্যা ঘটনা নিয়ে কোনো কবিতা, প্রবন্ধ রচনা অথবা টক শো না করেন।

এটা আমার সবিনয় অনুরোধ।

কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বিজ্ঞানী- এঁরা জাতির বিবেক। এঁদের অনুসরণ করে গড়ে উঠবে পরবর্তী প্রজন্ম। সেই বিবেক যদি মিথ্যাচার করে তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কী শিখবে? আমি আবার বলছি, সাক্ষাৎকারটি পড়ে অত্যন্ত বেদনার্ত হয়েছি। কারণ বঙ্গবন্ধু এত ত্যাগ স্বীকার করে, এত জেল-জুলুম ও সংগ্রাম করে আমাদের একটি মানচিত্র দিয়েছেন, আর রফিক আজাদ সাহেব একটা অসত্য কারণে সেই মানচিত্র খেয়ে ফেলতে চেয়ে অন্যায় করেছেন। তিনি হয়তো এত দিন পরে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন এবং স্বীকার করেছেন 'এটা আমার ভুল ছিল।' এই অনুশোচনা তাঁকে আমৃত্যু বহন করতে হবে। তার পরও কবি রফিক আজাদকে আমি ধন্যবাদ দেব, কারণ দেরিতে হলেও তিনি ভুলটি স্বীকার করার মতো সৎ সাহস দেখিয়েছেন।

ফরিদা শেখ

সদস্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

শেয়ার
জলাবদ্ধ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস

অল্প বৃষ্টিতেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র জলাবদ্ধতা। এই জলাবদ্ধতা একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, অন্যদিকে  প্রভাব ফেলছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝের খালি জায়গা, খেলার মাঠ এবং অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে নিয়মিত পানি জমে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাবদ্ধতার মূল কারণ হলো কার্যকর ড্রেনেজব্যবস্থার অনুপস্থিতি।

ক্যাম্পাসে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ অবকাঠামো নেই বললেই চলে। ইটের সোলিং করা রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত হয়ে গেছে, যেখানে সহজেই পানি জমে থাকে। সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পুরো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে রয়েছে। আশপাশের এলাকার পানি নামলেও ক্যাম্পাসে সঠিক নিষ্কাশনব্যবস্থা না থাকায় এখানকার পানি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকে।
জলাবদ্ধতার তীব্রতায় কেউ কেউ বাধ্য হন জুতা হাতে, প্যান্ট গুটিয়ে নোংরা পানির ভেতর দিয়ে ক্লাসে যেতে।

ফখরুল ইসলাম ফাহাদ

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য

সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

শেয়ার
সেতুর কাজ বন্ধ রাখায় দুর্ভোগে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার দুই গ্রাম খরনদ্বীপ ও চরনদ্বীপ। এই দুই গ্রামের লোকজনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘব করে আসছিল প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন কেরানি বাজার সেতু। পুরনো এ সেতুটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সংস্কারের জন্য ৪২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটির পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

প্রায় চার কোটি ৫৬ লাখ টাকার ব্যয় নির্ধারণ করে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত চার বছর আগে। অথচ চার বছরে বর্তমানে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ বন্ধ রেখে ঈদের আগে ঠিকাদার লাপাত্তা। নির্মাণাধীন সেতুটি নির্মাণের সময় জনসাধারণের চলাচলের জন্য সেতুর বিকল্প হিসেবে খালের ওপর কাঠ ও বাঁশের সাঁকোটিও গত ১ জুলাই থেকে দেবে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ সেতুটি খরনদ্বীপ শ্রীপুর থেকে শহরে যাতায়াতের একমাত্র পথ। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো মুহূর্তে এখানে বড় দুর্ঘটনা গঠতে পারে। জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়াছে এলাকাবাসী।

সাবের আহমদ রিজভী

চরনদ্বীপ, বোয়ালখালী

মন্তব্য

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

শেয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক, জরুরি পদক্ষেপ নিন

সম্প্রতি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মধ্যে একরকম সাপ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখন সাপের প্রজননের সময় চলছে। ইদানীং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যাচ্ছে। রাস্তার পাশে, আবাসিক এলাকায়, এমনকি হলের ওয়াশরুমেও বিষধর সাপ দেখা গেছে।

এটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অযাচিত ঝোপঝাড় বেড়ে উঠেছে, যেখান দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। ক্যাম্পাসজুড়ে যথেষ্ট আলোস্বল্পতা রয়েছে। ফলে রাতের বেলা শিক্ষার্থীদের চলাচল অত্যন্ত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
ক্যাম্পাসে নেই কোনো সাপ উদ্ধারকারী দল। এ ছাড়া ক্যাম্পাস থেকে শহরের হাসপাতাল অনেকটা দূরে হওয়ায় সাপের কামড়ের চিকিৎসাব্যবস্থাও এখানে অনিশ্চিত। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সবাইকে অত্যন্ত সচেতনতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

 

মো. জাহিদ হাসান

শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

মন্তব্য

ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

শেয়ার
ইন্দের হাট-মিয়ার হাট সংযোগ সেতুতে জনদুর্ভোগ

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার ইন্দের হাট ও মিয়ার হাট। কিন্তু এই দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানের সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি আজ জনদুর্ভোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে রয়েছে একাধিক আধুনিক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু সংকীর্ণ সেতু পেরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে রোগী নেওয়া প্রায় অসম্ভব।

অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন জ্যামের কবলে পড়ে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে পারে না। এতে শিক্ষা ও চিকিৎসা দুই খাতেই ব্যাঘাত ঘটছে।

সেতুটির প্রস্থ এতই সীমিত যে একটি ব্যাটারিচালিত অটো উঠলেই সেতুর দুই পাশে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে প্রতিটি ক্ষেত্রে।

শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে হাটুরে, রোগী কিংবা ব্যবসায়ীসবাই এই দুরবস্থার শিকার।

শুধু বাজারকেন্দ্রিক নয়, এর এক পাশে বিসিক শিল্প নগরী, অন্য পাশে ফেরিঘাট। সেতু এতই সরু যে বড় কোনো পণ্যবাহী যান চলাচল করতে পারে না। এই দীর্ঘমেয়াদি জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে সেতুটির দ্রুত সংস্কার বা নতুন একটি প্রশস্ত ও আধুনিক সেতু নির্মাণ।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি, এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যেন দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সাব্বির হোসেন মিরাজ

শিক্ষার্থী, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ