<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাম দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও তাদের আমলে নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনা সরকার পতন আন্দোলনেও বাম দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু বর্তমান রাষ্ট্র সংস্কার কিংবা সরকার পরিচালনায় মতামত না চাওয়ায় বাম দলগুলোর পাশাপাশি ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার, নির্বাচনসহ সার্বিক বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দ্রুত সংলাপে বসতে চায় এই দলগুলো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আলোচনায় আমন্ত্রণ পান বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলের নেতারা। কিন্তু ওই আলোচনায় বাম ঘরানার একমাত্র গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি আমন্ত্রণ পান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে সেপ্টেম্বর মাসে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে ধারাবাহিক সংলাপের কথা জানায়। ওই সংলাপ এখনো শুরু হয়নি। আবার গত ৩১ আগস্ট ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করলেও সেখানে বামপন্থীরা আমন্ত্রণ পায়নি। সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বাম দলগুলোর বৃহত্তর জোট সিপিবি ও বাসদের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সঙ্গে কোনো আলোচনাও হয়নি। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সহ অন্য দলগুলোর সঙ্গেও এখনো অন্তর্বর্তী সরকার বা তাদের প্রতিনিধিদের কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র সংস্কারের রোডম্যাপ এবং নির্বাচনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বাম দলগুলোর সংলাপ জরুরি বলে মনে করছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণ-অভ্যুত্থানে কোনো একক দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি। অথচ দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন স্থানে দখলদারি, চাঁদাবাজির হাত বদল হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিতর্কিতদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও ঘাতকদের পক্ষের আইনজীবীকে প্রধান কৌঁসলি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাচারের টাকা ফেরত আনা, ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃশ্যমান ভূমিকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংখ্যালঘু, মাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনার ওপর আঘাত-ভাঙচুর ও </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মব জাস্টিস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">-এর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সিপিবিসহ বাম গণতান্ত্রিক জোট অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span> </span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগের শরিকরাও সংলাপে আগ্রহী</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের অন্যতম বামপন্থী দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাসদসহ বাম দলগুলোর একটি অংশ গত দেড় যুগ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলন ও সরকারে ছিল। এই দুটি দলের পাশাপাশি সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, জাসদ (ইনু), গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণ আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, তরীকত ফেডারেশন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর পক্ষ থেকে গত ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় প্রধান উপদেষ্টা সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিলেও বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। এক যাত্রায় পৃথক ফলের এমন সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আইনি কোনো বিধি-নিষেধ না থাকার পরও একটি পার্টির মতামত অগ্রাহ্য করার বিষয়টি বৈষম্যমূলক ও অগণতান্ত্রিক।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছোট দলগুলোর খবর নেই</span></span></strong></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিএনপির সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তফ্রন্ট</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জোট গঠন করে ভোটে অংশ নেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর-প্রতীক)। ওই সময় আলোচনায় আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও তৃণমূল বিএনপি। কিন্তু বর্তমানে এই দলগুলোর কোনো খবর নেই। এ ছাড়া অন্তরালে চলে গেছে আরো বেশ কিছু দল।</span></span></span></span></p>