<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">জাপানের ওসাকার একটি চিড়িয়াখানার দশাসই বাসিন্দা জেন-চ্যান। আফ্রিকা মহাদেশের নদীর প্রাণী একটি জলহস্তী সে। সেই ২০১৭ সালে মেক্সিকো থেকে তাকে পুরুষ জলহস্তী হিসেবে আনা হয়। এত দিনে ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেছে জেন-চ্যান আসলে স্ত্রী জাতের। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কিছুদিন ধরেই লক্ষ করছিল, ১২ বছর বয়সী জেন-চ্যান আর দশটা পুরুষ জলহস্তীর মতো আচরণ করে না। তাকে মেক্সিকো থেকে আনা হয়েছিল প্রায় বাচ্চা বয়সে। তখন থেকে বয়স ক্রমেই বাড়লেও খতিয়ে দেখে জেন-চ্যানের শরীরে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ শনাক্ত করা হয়নি। ওসাকার তেনোজি চিড়িয়াখানার একজন মুখপাত্র গত মঙ্গলবার বলেন, পুরুষ জলহস্তীরা বিশেষ শব্দ করে নারীদের প্রেমের আহ্বান জানায়। এ ছাড়া নিজের কর্তৃত্বের এলাকা চিহ্নিত করার জন্য মলত্যাগের সময় দ্রুত লেজ ঘুরিয়ে চারপাশে বিষ্ঠা ছড়িয়ে দেয়। জেন-চ্যান এর কোনোটিই করেনি বলে তাঁদের মনে সন্দেহ জাগে। এ জন্যই এক পর্যায়ে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই বেরিয়ে আসে প্রাণীটির প্রকৃত লৈঙ্গিক পরিচয়। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে তাদের ওয়েবসাইটে এক পোস্টে জেন-চ্যানের প্রকৃত পরিচিতির তথ্য নিশ্চিত করে। পোস্টটিতে বলা হয়েছে, জেন-চ্যানকে মেক্সিকোর </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">আফ্রিকাম সাফারি এনিম্যাল পার্ক</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt"> থেকে তাদের চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছিল। তখন এর বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর। সে সময় তাকে কাগজপত্রে পুরুষ হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। জেন-চ্যান তখনো রীতিমতো বাচ্চা থাকায় এ তথ্য আর খুঁটিয়ে দেখা হয়নি। জাপানের মাইনিচি পত্রিকার মতে, চিড়িয়াখানার উপপরিচালক কিয়োশি ইয়াসুফুকু বলেছেন, </span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">‘</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">আমরা প্রাণীটির লিঙ্গ নিশ্চিত করার গুরুত্ব স্বীকার করি। এ ধরনের ভুল আর ঘটবে না বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Arial Unicode MS Bold""><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt">’</span></span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"><span style="letter-spacing:-.15pt"> এদিকে ওসাকার তেনোজি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, লিঙ্গ পরিচয় বদলে গেলেও জলহস্তী জেন-চ্যানের নাম পরিবর্তন করা হবে না।</span></span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>