<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিশিয়া উপকূলে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বেশির ভাগই বাংলাদেশি বলে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস গত শনিবার রাতে জানিয়েছে। </span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দূতাবাস জানায়, লিবিয়া উপকূল থেকে ৫২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগরপথে ইউরোপ যাত্রা করেছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিউনিশিয়া উপকূলে তাঁদের বহনকারী নৌকাটিতে আগুন লাগে। পরে তিউনিশিয়ার নৌবাহিনী নৌকাটি থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে, জীবিত ফিরিয়ে আনে ৪৩ জনকে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। এ ছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাঁদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে এবং নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে দূতাবাসের একটি টিমকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তিউনিশিয়া পাঠানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, আইওএমের তথ্য মতে, বিভিন্ন দেশের উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন এবং নিখোঁজ হয়েছেন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। লিবিয়া ও তিউনিশিয়ার নৌবাহিনীও তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপযাত্রা অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ইউরোপযাত্রা না করতে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সতর্ক করেছে দূতাবাস।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p> </p>