দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় আরো একজন যোগ হয়েছেন। গত চার দিনে প্রতিদিন একজন করে করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার। গত দুই দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা এক হাজারের ওপর।
বিজ্ঞাপন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি একজন নারী। বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩১৯। শনাক্তের হার ১৪.৩২ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয় এক হাজার ১৩৫ জন। শনাক্তের হার ছিল ১৩.৩০ শতাংশ। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত হয় এক হাজার ৪০৬ জন।
করোনার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দেশে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ মানুষকে করোনার প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১১ কোটি ৮৮ লাখের মতো। তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন প্রায় দুই কোটি ৮৩ লাখ মানুষ। এর পরও করোনা সংক্রমণ কোন বাড়ছে, তার কারণটা স্পষ্ট করে জানা দরকার। ’
তিনি বলেন, ‘যশোরে দুজনের শরীরে করোনার ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরণ শনাক্ত হলেও এর কারণেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এর ধরনের পরীক্ষা বা জিনোম সিকোয়েন্স আরো এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার রোগীদের নমুনা নিয়ে করা দরকার। আইইডিসিআর এ ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে জেনেছি। ওই পরীক্ষার ফল জানা দরকার। ’
অধ্যাপক নজরুল বলেন, ‘আমার ধারণা, শীতের সময় দেশে অনেক ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ আরো কয়েকটি ভাইরাসের সংক্রমণ শীতের সময়ই বেশি হয়। এ কারণে তখন করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এ বছর এপ্রিল, মে ও জুনের প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণ কম ছিল। অন্যান্য ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় করোনা সংক্রমণ কম হয় কি না বা অন্যান্য ভাইরাস কমে যাওয়ার কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে কি না—এ নিয়ে একটি পরীক্ষা চলছে। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণা করছে। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এর ফল পাওয়া যাবে। ’