চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন আগামী ১ অক্টোবর। এর আগে ১ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন সাংগঠনিক ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলোর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সদস্য নবায়ন, নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় দুই নেতার বক্তব্যে এসব ঘোষণা এসেছে।
প্রায় ১৬ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল সদস্য নবায়ন, নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সদস্য নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, প্রধান বক্তা সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
সভায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে দলের জাতীয় সম্মেলন হবে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের দুই মাস আগে আমরা সারা দেশে ইউনিটগুলোর সম্মেলন করতে চাই। আগামী ১ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। নতুন আঙ্গিকে এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে।
এর আগের বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগরে তৃণমূলের কমিটিগুলোর সম্মেলনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিটের বিষয়ে যেসব অভিযোগ আছে, তা আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে জানাতে হবে। নিষ্পত্তি করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে। এরই মধ্যে যেসব ইউনিটের সম্মেলন হয়নি তা শেষ করতে হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলোর সম্মেলন শেষ করতে হবে।
প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করুন। পাহাড়ে সম্মেলন হচ্ছে, চট্টগ্রামেও সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। আওয়ামী লীগ থেকে দূষিত রক্ত বের করতে হবে। দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে টানতে হবে। ’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে তারা খারাপ খবরের শিরোনাম হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে অন্তর্কলহে অনেকের প্রদীপ নিভে গেছে। এটি আমরা দেখতে চাই না। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে হবে। ’
এদিকে গতকাল ওই অনুষ্ঠানের পর বিকেল ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়াদি নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি। প্রায় সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওই বৈঠকে তৃণমূলের কমিটিগুলোর সম্মেলনের তারিখসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নেতারা জানান।