রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় আজ শুক্রবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বৃষ্টির সময় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। বৃষ্টির পর সারা দেশে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ শুক্রবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁ ও তার আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। লাগাতার এই শীতে বিপর্যস্ত নওগাঁর জনজীবন।
প্রচণ্ড শীতকে উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো মৌসুমের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। শীতে বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর। শীতের মৌসুমজুড়ে নওগাঁ ও এর আশপাশের তাপমাত্রা ৮ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের কোনো একসময় নিরুত্তাপ সূর্যের দেখা মিললেও কমছে না শীতের প্রকোপ।
নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আকাশ পরিষ্কার থাকায় শীতের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে এই তাপমাত্রা ভবিষ্যতে আরো কমতে পারে। গতকাল নওগাঁয় তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।