ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার লক্ষ্যে গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আলোক নিবাসের উদ্বোধন করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ
সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে ক্যান্সার থেকে নিরাময় মেলে, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। গতকাল শনিবার দেশে এই প্রথম স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবাদানকারী ক্যান্সার কেয়ার হোম আলোক নিবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ-ব্লকের ৩ নম্বর সড়কের ১৪৪ নম্বর বাড়িতে গতকাল বিকেলে আলোক নিবাসের উদ্বোধন করেন বানকেটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আনিস এ খান। ভিডিও বার্তায় যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি নাজমুস আহমেদ আলবাব।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, শুধু চিকিৎসা দিতে চাইলে অনেক মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া যায়। কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। ক্যান্সার রোগীর দেখভাল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা গেলে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ফলে দেখভালের বিষয়টি নিশ্চিত করতে আলোক নিবাসের যাত্রা শুরু হলো।
উদ্যোক্তারা জানান, করোনার সময় এমন একটি সেবা চালু করতে না পারায় বহু মানুষ স্বজন হারিয়েছে। করোনার মধ্যে বেশির ভাগ ক্যান্সার রোগী ও তাদের স্বজনরা এ নিয়ে কাজ করার বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছে। আলোক নিবাস চালু হওয়ায় রোগী ও স্বজনরা খুশি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকার বাইরে থেকে যে রোগীরা আসবে, তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রোগীরা ঢাকায় আসে চিকিৎসার জন্য, কেমো ও রেডিও থেরাপির জন্য। সরকারি হাসপাতালে দেখা যায়, সিট না পেয়ে রোগীরা বারান্দায় থাকছে। এ কারণে ভালোর চেয়ে অনেক সময় খারাপ হয় বেশি। এসব সমস্যা মাথায় রেখে আলোক নিবাস করা হয়েছে। এখানে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার পাশাপাশি রোগীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ও ফিটনেস নিয়েও কাজ করা হবে। এসবের সমন্বয়ে রোগীর মধ্যে ইতিবাচক প্রেরণা বাড়ানো হবে।
আনিস এ খান বলেন, ‘এমন একটি মহতী কাজের জন্য যাঁকেই বলা হয়েছে, সবাই এগিয়ে এসেছেন। আলোক নিবাস ক্যান্সার যোদ্ধাদের সহায়তা, সাহস, আশ্রয় ও যত্নের প্রতিনিধিত্ব করবে। ’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ভাইস চ্যান্সেলর ইমরান রহমান বলেন, ‘এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এর জন্য আমাদের ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। ’
বাংলা ট্র্যাক গ্রুপের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘জনগণের জন্য যদি ইতিবাচক কিছু করা যায়, সেই চিন্তা থেকে এখানে আমাদের যুক্ত হওয়া। আশা করছি, সর্বোচ্চটা আমরা এখানে দেব। ’
ইস্পাহানি গ্রুপের জিএম (চা মার্কেটিং) ওমর হান্নান বলেন, ইস্পাহানি গ্রুপ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও স্পোর্টসে সব সময় কাজ করে। যত ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন, ইস্পাহানি গ্রুপ ভবিষ্যতে এটা করে যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আইপিডিসির এমডি ও সিইও মমিনুল ইসলাম, এক্সপো গ্রুপের কান্ট্রি ম্যানেজার মুর্তজা করিম, বিএসআরএম গ্রুপের রুহি এম আহমেদ, এবি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশতিয়াক এ চৌধুরী প্রমুখ।