কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টির পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে বিদেশি পিস্তলসহ এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ময়নামতী ইউনিয়নের শাহ দৌলতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আটক যুবকের নাম ফাহিম। তিনি কুমিল্লা সদর উপজেলার ২ নম্বর উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মেম্বারের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

এ সময় ফাহিমের সঙ্গে থাকা সোহান নামের একজনকেও আটক করা হয়।

আরো পাঁচজন মোটর বাইকে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ময়নামতী ইউনিয়নের শাহ দৌলতপুর গ্রামের মরহুম বাসার মেম্বার বাড়িসংলগ্ন ঈদগাহে সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয় এক নারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর পরই স্থানীয়রা চিৎকার ও হৈ-হুল্লোড় শুনতে পায়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে আসা ছয়জন অস্ত্রধারী স্থানীয় আব্দুর রহমানের ছেলে সাব্বিরকে খুঁজতে থাকেন। তাঁকে না পেয়ে তাঁরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফাহিম অস্ত্র হাতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য পাঁচজন পালিয়ে যান।

স্থানীয়রা ফাহিমকে গণপিটুনি দিয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই জহির একটি বিদেশি পিস্তলসহ ফাহিমকে পুলিশ হেফাজতে নেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি জানান, এই ঘটনায় সাব্বিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। দুজন আটক আছেন। অন্যদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।