<p>ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার ও জালিয়াতি রোধে তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।</p> <p>গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। বঙ্গভবনের গ্যালারি হল থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ আয়োজিত চার দিনের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি-২০২১’ ও ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট-২০২১’-এর উদ্বোধন করেন তিনি। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এ আয়োজন করেছে। এতে ৮৫টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।</p> <p><img alt="" src="http://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/ckfinder/innerfiles/images/Print Version Online/print /2021/11.November/12-11-2021/kalerkantho-16-2021-11-12-01a.jpg" style="float:left; height:146px; width:400px" />বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ স্লোগানে ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি’র ২৫তম আসর চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ‘ডাব্লিউসিআইটি ২০২১’ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১’। অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স ও বিটুবি সেশন।</p> <p>আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়নের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানিই যথেষ্ট নয়, বরং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।</p> <p>রাষ্ট্রপতি বলেন, শহর ও গ্রামের মধ্যে ডিজিটাল বিভক্তি কমে আসছে। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের দাম কমানো, অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল যন্ত্রকে হাতের নাগালে আনার পাশাপাশি মানুষের হাতের মুঠোয় সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।</p> <p>ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির ‘মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্সে’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্মেলনে যুক্ত হয়ে মূল বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিতে চায় এবং সে অনুযায়ী বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সেই সক্ষমতা আছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, আইওটি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, রোবটিকস, মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনের মতো ক্ষেত্রগুলোতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।</p> <p>২০২৫ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, আইটি রপ্তানি একসময় পোশাক খাতকে ছাড়িয়ে যাবে। মহামারিকালে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে গেছে। মোবাইল ইন্টারনেট, ই-কমার্স, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের প্রসার বেড়েছে এই সময়ে।’</p> <p>বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশে ৩৯টি হাই-টেক পার্ক করা হয়েছে। এসব পার্কে নানা সুযোগ রাখা হয়েছে।</p> <p>স্যামসাংসহ কয়েকটি কম্পানি বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে জানিয়ে জয় বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম কনজিউমার মার্কেট, এখানে বিশাল মধ্যবিত্ত শ্রেণি রয়েছে। আমার বিশ্বাস, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মেড ইন চায়না বা ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট, হার্ডড্রাইভে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ দেখা যাবে।”</p> <p>আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহেমদ পলক বলেন, ‘আইসিটিকে আমরা ব্যবহার করি গ্রাম-শহরের দূরত্ব দূর করা, ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর করা, নারী-পুরুষের বিভেদ দূর করার জন্য। আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে।’</p> <p>তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ডাক্তার মো. আব্দুল মান্নান, উইটসার চেয়ারম্যান ইয়ানিস সিরোস এবং বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ-উল-মুনীরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।</p>