হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি টিকা জরায়ু ক্যান্সার প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বে এই প্রথম একটি গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। এই ফলকে যুক্তরাজ্যের ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ ঐতিহাসিক বলে বর্ণনা করেছে।
প্রায় সব ধরনের জরায়ু ক্যান্সারই ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
গবেষকরা বলেছেন, এই সাফল্যের অর্থ হলো—যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের জরায়ুর স্মিয়ার টেস্ট অনেক কম করানোর প্রয়োজন হতে পারে। স্মিয়ার টেস্টের মাধ্যমে জরায়ু মুখের স্বাস্থ্য দেখা হয়ে থাকে। এটি ক্যান্সারের পরীক্ষা নয়, এই টেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
সারা বিশ্বে নারীরা সাধারণত যত ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে জরায়ু মুখের ক্যান্সার চতুর্থ। বিশ্বে প্রতিবছর তিন লাখেরও বেশি মানুষ এই ক্যান্সারে মারা যায়।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই মারা যায়। এসব দেশে জরায়ু মুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিংয়ের সুযোগ কম থাকায় মৃত্যুহার এত বেশি। এখন আশা করা হচ্ছে, এইচপিভি টিকা এসব দেশের মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরায়ু মুখের ক্যান্সার প্রায় নির্মূলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ এই টিকা দেওয়া শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যে মেয়েদের ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সের মধ্যে এই টিকা দেওয়া হয়। ২০১৯ সাল থেকে ছেলেদেরও দেওয়া শুরু হয়।
এইচপিভি টিকা শুধু সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে, ভাইরাসকে শরীর থেকে মুক্ত করতে পারে না। ভাইরাসগুলোর বিস্তার এতটাই ব্যাপক যে যৌনতা সক্রিয় হওয়ার আগেই এর টিকা দিতে হবে।
সূত্র : অনলাইন।