<p>ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ও দিব্যি রেখে দেওয়া যায়, এমন কভিড টিকা বানাচ্ছে ভারতের বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি)। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই অভিনব কভিড টিকার প্রধান বিশেষত্ব হলো এই টিকা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সমান সক্রিয় রাখা যায়। তাপমাত্রার বিষয়টি এখন পর্যন্ত বাজারে চালু কভিড টিকাগুলোর এক ও একমাত্র সমস্যা। এর ফলে তাপমাত্রা বাড়লেও এই টিকা নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে না। এই টিকা সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেশনব্যবস্থারও সাহায্য নিতে হবে না। ফলে টিকা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।</p> <p>এই টিকা তৈরির প্রকল্পের প্রধান আইআইএসসির অধ্যাপক রাঘবন বরদারাজন বলেছেন, ‘ইঁদুর ও গিনিপিগের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছি, আমাদের বানানো টিকা  দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধী ব্যবস্থায় (ইমিউন সিস্টেম) প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারছে। খুব অল্প সময়ে। সেই অ্যান্টিবডিগুলি ইঁদুর ও গিনিপিগের দেহে ঢুকে পড়া সার্স-কভ-২ ভাইরাসকে অনায়াসেই অকেজো ও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারছে। ভাইরাস কোষে ঢুকে আর বংশবৃদ্ধি করতে পারছে না। ফলে সংক্রমণও হচ্ছে না।’</p> <p>বরদারাজনের কথায়, ‘গবেষণাগারের টেস্ট টিউবে রাখা সংক্রমিত মানবদেহের কোষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছি, এই টিকা যে নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডিগুলো তৈরি করছে, সেগুলো এমনকি সার্স-কভ-২ ভাইরাসের নতুন কয়েকটি রূপকেও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারছে।’ সার্স-কভ-২ ভাইরাসের সেই নতুন রূপগুলোর মধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রথম হদিস মেলা ভারতীয় ডাবল মিউট্যান্ট রূপটিও আছে বলে গবেষকদের দাবি।</p> <p>রাঘবন বলছেন, ‘আমাদের কভিড টিকার প্রধান বিশেষত্ব হলো এটাকে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায়ই রাখা যাবে। ফলে বেশি তাপমাত্রায় টিকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। মানবদেহে এই টিকার কার্যকারিতা জানতে মানুষের ওপর অন্তত দুটি পর্যায়ে পরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন। সেই ট্রায়ালের জন্য অর্থ অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।’ সূত্র : আনন্দবাজার।</p>