পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লার একটি বাড়ির নিচতলা থেকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) পাবনা জোনাল অফিসের অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, তাঁর স্ত্রী সুম্মা খাতুন এবং তাঁদের একমাত্র মেয়ে সানজিদার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন মা ও মেয়ে। গতকাল শুক্রবার এসব ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :
পাবনা : গতকাল দুপুরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাবনা শহরের দিলালপুর মহল্লার আব্দুল খালেক খানের দোতলা বাড়ির নিচতলা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রায় তিন বছর আগে খালেক খানের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নেন রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) পাবনা জোনাল অফিসের অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার। এর পর থেকে পরিবার নিয়ে তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। বাড়ির মালিক ঢাকায় থাকায় দোতলায় কেউ থাকত না। গতকাল দুপুরে বাড়িটি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, গতকাল দুপুর ২টার দিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে তিনজনের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআইয়ের যৌথ দল বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে লাশগুলো উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়।
পাবনার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আঘাত ও শ্বাসরোধে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। রাজশাহী থেকে সিআইডির ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদল পাবনায় এসে তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সুম্মা খাতুনের ভাই পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুজ্জামান জানান, ঈদের পরে তাঁর সব ভাই-বোন ভাড়ারায় তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত শনিবার সুম্মা খাতুন পরিবার নিয়ে পাবনায় চলে আসেন। এর পর থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি।
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন চিনি বেগম ও তাঁর ২৭ বছর বয়সী মেয়ে ইয়াসমিন বেগম। গতকাল ভোরে উপজেলার আশিদ্রোণ ইউনিয়নের পূর্ব জামসি গ্রামে নিজ বাড়িতে তাঁদের খুন করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে চিনি বেগমের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা চিনি বেগমের ঘরের পেছনের দিকের বেড়া ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। পরে প্রতিবেশীরা বেড়ার ভাঙা অংশ দিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে মা ও মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও চেয়ারম্যানকে খবর দেয়।
মন্তব্য