<p>দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। এ কারণে বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। বাড়ছে ত্রাণের জন্য হাহাকারও। যদিও নিম্ন আয়ের মানুষের দিকে এখনো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই সাহায্য স্থায়ী কোনো সমাধান না হলেও অন্তত দুই বেলা আহারের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে অনেক মানুষের। কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের খবরে বিস্তারিত—</p> <p>আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে উপার্জিত অর্থ দুস্থদের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দোরাননগর গ্রামের কয়েক যুবক। গতকাল শুক্রবার স্থানীয় কয়েকজনের জমির আগাছা পরিষ্কার করে দেন তাঁরা। এই শ্রমের বিনিময়ে তাঁরা আয় করেন ৯ হাজার টাকা। আর এই টাকা তাঁরা তুলে দেবেন দুস্থদের হাতে। এদিকে মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গতকাল দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।</p> <p>খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাদ্য সহায়তা দিয়েছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ক্লাব। নরসুন্দর, নির্মাণ শ্রমিক ও  জেলে পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৫০০ মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে হাজেরা রশিদ ফাউন্ডেশন। রাজবাড়ীতে কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা শাখা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দেড় শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয় গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েসের পক্ষ থেকে। ঝালকাঠিতে দুই হাজার পরিবারের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর পক্ষ থেকে। একই জেলার নলছিটিতে ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে সুগন্ধা গ্রুপ। মাদারীপুরের রাজৈরে ত্রাণ বিতরণ করা হয় শ্রী শ্রী প্রণব মঠের উদ্যোগে।</p> <p>দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের পক্ষ থেকে। হিলিতে ২৫০ জনকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয় বোয়ালদাড় ওয়াকফ এস্টেট ও স্থানীয় খান পরিবারের পক্ষ থেকে। বিরামপুরে ‘মানবতার দোকান’ খুলেছে ছাত্রলীগ। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য রাখা হয়েছে। দুস্থরা চাইলে বিনা মূল্যে সেগুলো নিতে পারছে। কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুস্থদের ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন সেনা সদস্যরা। পাবনায় করোনায় আক্রান্তদের জন্য বিনা মূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স সেবা চালু করা হয়েছে স্কয়ার গ্রুপের পক্ষ থেকে। এতে সহায়তা করছে জেলা যুবলীগ। নীলফামারীতে গতকাল বেকার ও তৃতীয় লিঙ্গের ২০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে পুলিশ। সাতক্ষীরায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাব। ৪০০ বেকার শ্রমিকের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার পক্ষ থেকে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কুলিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান। নওগাঁর ধামইরহাটে ১০০ মানুষের মাঝে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয় পিড়লডাঙ্গা মাদরাসাতুল হিদায়া নুরানি ও হাফেজিয়ার উদ্যোগে। </p> <p>ময়মনসিংহের ফুলপুরে ত্রাণ দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সারোয়ার। একই উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ করেন ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান। ভালুকায় লকডাউনে থাকা একটি বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন। এ ছাড়া ছয় শতাধিক পরিবহন শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয় চট্টগ্রাম জেলা বাস-মিনিবাস-হিউম্যান হলার মালিক সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে।</p> <p> </p>