<p>বুড়িগঙ্গা ও তুরাগতীর রক্ষায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হকের মালিকানাধীন একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গার মিলনস্থল বছিলা ব্রিজের পশ্চিম পাশে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবৈধ অংশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদের শুরুর দিকে দলখদারদের বাধায় কিছুটা উত্তেজনা ছড়ালেও অভিযান অব্যাহত রাখে কর্তৃপক্ষ। পরে ঘটনাস্থলে এসে সংসদ সদস্য দাবি করেন, তিনি অনুমতি নিয়েই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। অন্যদিকে বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, আবেদন করা হলেও কোনো অনুমতি তারা পায়নি। দাবির সপক্ষে তারা কোনো কাগজও দেখাতে পারেনি।</p> <p>চতুর্থ ধাপের ১৮তম দিনে গতকাল বুড়িগঙ্গা-তুরাগের সংযোগস্থল চরওয়াশপুর মৌজায় তিনটি পাকা একতলা ভবন, ১০টি পাকা ওয়াল, ১০টি অন্যান্য স্থাপনাসহ সর্বমোট ২৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এতে তীরভূমির প্রায় তিন একর জমি দখলমুক্ত হয়। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে একই স্থানে আবারও অভিযান চালানো হবে বলে জানায় বিআইডাব্লিউএ কর্তৃপক্ষ।</p> <p>বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক (নদীবন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে আমরা নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেব। এর জন্য নৌ মন্ত্রণালয়সহ সবার সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আজকের (গতকাল মঙ্গলবার) উচ্ছেদকৃত মাইশা পাওয়ার প্লান্টটি অবৈধভাবে গড়ে তোলা। এটি নদীর জায়গায় নির্মাণ</p> <p>করা হয়েছে। এখানে প্লান্টের ক্ষেত্রে কয়েকটি ব্যাপারে বিধান মানা হয়নি। একটি হলো নদীর জায়গা ভরাট।</p> <p>এরপর প্রাকৃতিক জলাধার আইনে নদীর জায়গা ভরাট করার অনুমতি না থাকলেও বালি দিয়ে উঁচু করে ফেলা। এ ছাড়া নদীর জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করার কোনো সুযোগ নেই। এখানে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ ধারা ভাঙা হয়েছে।’</p> <p>সংসদ সদস্যের দাবি, তিনি অনুমতি নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আরিফ উদ্দিন বলেন, ‘তাঁরা (আসলামুল হক এমপি) আবেদন করেছেন। আবেদন করা আর অনুমোদন পাওয়া দুই জিনিস। তাই এটি অবৈধই রয়ে গেছে। এখানে কোনো ব্যক্তিস্বার্থের বিষয় নেই।’</p> <p>ঘটনাস্থলে থাকা সংসদ সদস্য আসলামুল হক বলেন, ‘নদী দখল করে পাওয়ার প্লান্ট করা হয়নি। বৈধ কাগজপত্র আছে। এর পরও উচ্ছেদ করা হচ্ছে। যৌথ জরিপ করা হয়েছে। আমার কাছে কাগজপত্র আছে। বারবার জরিপ করা হয়েছে। ডিও লেটার দিয়ে বারবার বিআইডাব্লিউটিএকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে নদী কোথায় আছে তার সীমানা নির্ধারণ করতে। কিন্তু তারা এসব শুনছে না।</p> <p> </p> <p> </p>