নিখোঁজের ১৮ মাস পর নিজ বাসায় ফিরেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৭) সাবেক অধিনায়ক হাসিনুর রহমান। গত শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানাধীন ডিওএইচএসের বাসায় ফেরেন তিনি।
পরিবারের বরাত দিয়ে তাঁর ফেরার কথা নিশ্চিত করে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম গতকাল শনিবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে হাসিনুর বাসায় ফেরেন। তিনি সুস্থ আছেন, তবে তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন বলে মনে করছে পরিবার। এরই মধ্যে পরিবারের লোকজন হাসিনুরকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেছে।
হাসিনুরের স্ত্রী শামীমা আক্তার বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি ফিরেছেন। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে কোনো এক সময়ে বাসার কলিং বেল বেজে উঠলে দরজা খুলে দেখি সামনে হাসিনুর।’ তবে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। এত দিন তিনি কোথায় ছিলেন সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। বিশেষ করে তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো না থাকায় এ বিষয়ে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন এখনো কিছু জানতে পারেনি। পরে পুলিশকে বিস্তারিত জানানো হবে বলে পরিবার নিশ্চিত করেছে।
এসআই মনিরুল আরো বলেন, ‘এখনো আমরা হাসিনুরের সঙ্গে দেখা করিনি। আমরা নিখোঁজের বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব। তখন হয়তো একটা ধারণা পাওয়া যাবে। তিনি ফেরার পর ডিওএইচএসের বাসায় গিয়ে তাঁর খোঁজ করা হয়। তবে সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি চিকিৎসার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রয়েছেন।’
পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাসিনুর। অর্থাৎ ১৮ মাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সে সময় তাঁর পরিবার দাবি করেছিল, মিরপুরের ডিওএইচএস এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করে তাঁর পরিবার। তাঁর সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিল।
হাসিনুর রহমান র্যাব-৭-এর অধিনায়ক থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। এরপর তিনি চাকরিচ্যুত হন। তবে পরিবার বরাবরই দাবি করে আসছিল, হাসিনুর একজন দেশপ্রেমিক সৈনিক ছিলেন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার।
মন্তব্য