<p>যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) স্ট্রিং অপারেশনে আটক বাংলাদেশি আশিকুল আলমকে কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নিউ ইয়র্কের একটি সূত্র গতকাল শুক্রবার বিকেলে কালের কণ্ঠকে জানায়, আশিকুল আলমকে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ফেডারেল আদালতে তোলা হয়েছিল। সেখানে তাঁর একটি চোখে ছিল নির্যাতনের কালো দাগ। আশিকুলের আইনজীবী আদালতকে জানান, তাঁর মক্কেলকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনে আশিকুল কেবল চোখেই আঘাত পাননি, তাঁর দাঁতও ভেঙে ফেলা হয়েছে।</p> <p>অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অ্যাটর্নি ডেভিড কেসলার আদালতকে বলেন, তাঁদের কাছে আশিকুলের কর্মকাণ্ডের ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময়ের ভিডিও আছে। সেই ভিডিওতে আশিকুলের ‘অস্ত্র কেনা’সহ অপরাধের বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।</p> <p>সন্ত্রাসী হামলা চালানোর লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র কেনা ও গ্রহণ করার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ গত ৬ জুন আশিকুল আলমকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ব্রুকলিনের ফেডারেল আদালতের বিচারক তাঁকে ‘ভয়ংকর অপরাধী’ হিসেবে অভিহিত করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে আশিকুল ব্রুকলিনের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন  সেন্টারে আটক আছেন।</p> <p>জানা গেছে, গত ২৭ জুন আশিকুলকে শুনানির জন্য আদালতে তোলা হয়েছিল। সে সময় আশিকুল নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন। সে সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, বিষয়টি সুরাহার জন্য উভয় পক্ষ (বাদী ও বিবাদী) আলোচনা করছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শুনানির সময়ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওই আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে আদালতকে জানান। তবে এরই মধ্যে কারাগারে আশিকুলের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটল। ওই নির্যাতন কে বা কারা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।</p> <p>নিউ ইয়র্কের কুইন্সের বাসিন্দা আশিকুলের বিরুদ্ধে এফবিআই অবৈধ অস্ত্র কেনার অভিযোগ আনলেও আদালতে উত্থাপিত হলফনামা অনুযায়ী ওই অস্ত্র আইন প্রয়োগকারী ছদ্মবেশী কর্মকর্তারাই তাঁকে দিয়েছিলেন। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা, হামলার জন্য উৎসাহ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ—এগুলোর পুরো প্রক্রিয়াই আইন প্রয়োগকারী ছদ্মবেশী কর্মকর্তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। গত বছরের আগস্ট মাসে বা তার কাছাকাছি সময়ে ছদ্মবেশী এক আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার নজরে পড়েন আশিকুল। এরপর প্রায় ১০ মাস ধরে তাঁর সঙ্গে অন্তত ২৩ দফা সাক্ষাৎ ও বৈঠক করে সন্ত্রাসী হামলার ফাঁদ পাতা হয়। আর সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন ২২ বছর বয়সী আশিকুল।</p>