<p>আয়াতের অর্থ : ‘আলিফ-লাম-রা, এই কিতাব প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞের কাছ থেকে; এর আয়াতগুলো সুস্পষ্ট, সুবিন্যস্ত এবং পরে বিশদভাবে বিবৃত যে তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করবে না, অবশ্যই আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা। আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন কোরো ...আল্লাহর কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন এবং তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’  (সুরা : হুদ, আয়াত : ১-৪)</p> <p>পবিত্র কোরআনের ১১তম সুরা হুদ। মক্কায় অবতীর্ণ এই সুরায় পূর্ববর্তী জাতিগুলোর ওপর আল্লাহর শাস্তি ও কিয়ামতের ভয়াবহ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেন, সুরা হুদ আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে।</p> <p>(মাআরেফুল কোরআন : ৪/৫৬৫)</p> <p> </p> <p><strong>শিক্ষা ও বিধান</strong></p> <p>১. আয়াতে দাওয়াতের ধারাবাহিকতা শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। তা হলো প্রথমে ঈমানের দাওয়াত, এরপর ঈমানের শিক্ষা। অতঃপর পাপ-পুণ্যের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।</p> <p>২. তাওবার ও ইস্তিগফারের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আল্লাহর আশ্রয় ও সাহায্য কামনা করা।</p> <p>৩. তাওবার একটি পুরস্কার হলো জীবন-জীবিকায় প্রশস্তি আসা, জীবনে বরকত লাভ করা।</p> <p>৪. উপভোগ্য জীবন হলো যা আছে তাতে সন্তুষ্ট হতে পারা এবং যা নেই তা নিয়ে দুঃখ না করা।</p> <p>৫. পৃথিবীতে সম্মান ও মর্যাদার মূলভিত্তি ঈমান ও আমল, যা পরকালে মানুষ যথাযথভাবে পেয়ে যাবে।</p> <p>(তাফসিরে কুরতুবি : ১১/৬৭)</p> <p> </p> <p> </p>