<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতের অর্থ : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কোরো, তবে তা ভালো; আর যদি তা গোপনে কোরো এবং অভাবগ্রস্তকে দাও তা তোমাদের জন্য আরো ভালো। তিনি তোমাদের কিছু কিছু পাপ মোচন করবেন। তোমরা যা করো আল্লাহ তা সম্যক অবহিত। ...যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের পুণ্য ফল তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৭১-২৭৪)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আয়াতগুলোতে আল্লাহ দান-সদকার নিয়ম ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষা ও বিধান</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১. সাধারণত দান-সদকাসহ সব ইবাদত গোপনে করা উত্তম। কেননা তা রিয়া বা প্রদর্শনের পথ বন্ধ করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, (অন্যকে উৎসাহিত করতে) প্রকাশ্যে দান করা উত্তম। এর প্রতিদানও বেশি মেলে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৩. নফল দান অমুসলিমদেরও করা যায়। তবে অসহায় মুসলমানদের প্রাধান্য দেওয়া উত্তম। জাকাত ও সদকার মতো ফরজ দান কেবল মুসলমানের জন্য। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৪. যারা দ্বিনের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করেছে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখা অন্য মুসলমানের দায়িত্ব। যেভাবে আনসার সাহাবিরা সুফফার অধিবাসীদের প্রতি রাখতেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫. যার ওপর জাকাত ওয়াজিব নয় সে অন্যের কাছ থেকে জাকাত গ্রহণ করতে পারবে। (কুরতুবি : ৪/৩৫৯-৩৭৩; তাফসিরে মুয়াসসার : ১/৪৬)</span></span></span></span></p> <p> </p>
