<p>দ্বিতীয় হিজরির সফর মাসে সংঘটিত হয় গাজওয়ায়ে আবওয়া সামরিক অভিযানে মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। এটি গাজওয়ায়ে ওয়াদ্দান নামেও পরিচিত। আবওয়া ও ওয়াদ্দান দুটি নিকটবর্তী স্থান। দূরত্ব ছয় থেকে আট মাইল। এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল একটি কুরাইশ কাফেলা ধরতে এবং বনু জামরায় অভিযান চালান। মুসলিম কাফেলা আবওয়া পৌঁছার আগে কুরাইশ কাফেলা স্থান অতিক্রম করে গিয়েছিল। তবে বনু জামরার সর্দার মাখশি ইবনে আমরের সঙ্গে সন্ধিচুক্তি হয়। সন্ধির প্রধান শর্তগুলো ছিল, ‘বনু জামরা মুসলমানের সঙ্গে যুদ্ধ করবে না এবং মুসলমানের কোনো শত্রুকেও সাহায্য করবে না। মুসলমানের সঙ্গে প্রতারণা করবে; বরং প্রয়োজনে মুসলিমদের সাহায্য করবে।’</p> <p>অভিযানে বের হওয়ার সময় মহানবী (সা.) সাদ ইবনে উবায়দা (রা.)-কে প্রনিতিধি নিযুক্ত করেন। এই অভিযানে হামজা (রা.)-এর হাতে ঝাণ্ডা ছিল। এই অভিযানে কতজন মুসলিম অংশগ্রহণ করেছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মতবিরোধ আছে। কেউ বলেছেন, শুধু ৬০ জন মুহাজির সাহাবি অংশ নেন। আর কেউ বলেন, দুই শ সাহাবি অংশ নেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ পদব্রজে যান, কেউ অশ্বারোহী ছিলেন। কোনো রক্তপাত ছাড়াই মহানবী (সা.) ১৫ দিন পর মদিনায় ফিরে আসেন। (ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবি, আস-সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ, পৃষ্ঠা ৩৬৩; সিরাতে মোস্তফা : ২/৪৬)</p> <p>এরপর কুরাইশের একটি বাণিজ্য কাফেলাকে আটক করতে নবীজি (সা.) দ্বিতীয় হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে দুই শ সাহাবিকে সঙ্গে নিয়ে বুওয়াতের অভিযানে বের হন। তাঁর ইচ্ছা ছিল বুওয়াত নামক স্থানে কাফেলাকে আটক করবে। কিন্তু মুসলিম বাহিনী পৌঁছার আগেই কুরাইশ কাফেলা স্থান অতিক্রম করে যায়। বাণিজ্য কাফেলার নেতৃত্বে ছিল উমাইয়া বিন খালফ। এতে এক শ মানুষ ও আড়াই হাজার উট ছিল। এই অভিযানে মুসলমানের পতাকার রং ছিল সাদা এবং তা সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.) বহন করেন। অভিযানে বের হওয়ার আগে নবীজি (সা.) সাদ বিন মাআজ (রা.)-কে মদিনার আমির নিযুক্ত করেন। তিনি ছিলেন হামশায় হিজরতকারী সাহাবিদের মধ্যে অগ্রগামী। (আর-রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা ২০৫)</p> <p> </p>