<p>আল্লাহর সব গুণই পূর্ণ। আল্লাহর গুণাবলিতে কোনো অপূর্ণতা নেই। তেমনি আল্লাহর নেই কোনো নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহর ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের নেতিবাচক মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যার কয়েকটি হলো—</p> <p>১. আল্লাহ অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না : ইরশাদ হয়েছে, ‘এটা আল্লাহরই প্রতিশ্রুতি; আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না, কিন্তু বেশির ভাগ লোক তা জানে না।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৬)</p> <p>২. আল্লাহর কোনো ক্ষুধা নেই : আল্লাহর কোনো ক্ষুধা নেই, তাই তিনি আহার করেন না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি আহার করান, তাঁকে আহার করানো হয় না।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৪)</p> <p>৩. আল্লাহ কৃপণ নন : মহান আল্লাহ দানশীল, আল্লাহর চেয়ে বড় কোনো দানশীল নেই। ইরশাদ হয়েছে, ‘ইহুদিরা বলে, আল্লাহর হাত রুদ্ধ। তারাই রুদ্ধহস্ত এবং তারা যা বলে তার জন্য অভিশপ্ত, বরং আল্লাহর উভয় হাতই প্রসারিত; যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ৬৪)</p> <p>৪. আল্লাহ পুণ্যের প্রতিদান নষ্ট করেন না : কেউ কেউ ভালো কাজ করলে আল্লাহ তার প্রতিদান দেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা ভালো কাজ করে আল্লাহ তাদের প্রতিদান নষ্ট করেন না।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৩০)</p> <p>৫. আল্লাহকে ক্লান্তি স্পর্শ করে না : ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং তাদের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে; আমাকে কোনো ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ৩৮)</p> <p>৬. কোনো কিছু আল্লাহর অগোচরে নয় : ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আসমান ও জমিনের কোনা কিছুই তাঁর (আল্লাহর) কাছে গোপন থাকে না।’ (সুরা : আলে ইমরান,  আয়াত : ৫)</p> <p>৭. আল্লাহর ঘুম ও তন্দ্রা আসে না : ঘুম ও তন্দ্রার উৎস শারীরিক ক্লান্তি ও দুর্বলতা। আর আল্লাহ এসব থেকে মুক্ত। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৫)</p> <p>৮. আল্লাহ অবিচার করেন না : আল্লাহ কোনো সৃষ্টির প্রতি অবিচার করেন না। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অবিচারকারী না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮২)</p> <p>৯. আল্লাহ উদাসীন নন : আল্লাহ কোনো কিছুর ব্যাপারেই উদাসীন নন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যা করো সে বিষয়ে আল্লাহ উদাসীন নন।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৭৪)</p> <p>১০. আল্লাহ ভুল করেন না : ইরশাদ হয়েছে, ‘মুসা বলল, এর জ্ঞান আমার প্রতিপালকের কাছে কিতাবে আছে। আমার প্রতিপালক ভুল করেন না এবং বিস্মৃতও হন না।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৫২)</p> <p> </p>