<p>কোরআনে আল্লাহ নিজেকে ‘আশ-শাফি’ বা আরোগ্য দানকারী বলেছেন। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মতে ‘আশ-শাফি’ আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি যখন রোগাক্রান্ত হই, তিনি আমাকে আরোগ্য দান করেন।’ (সুরা : আশ-শুআরা, আয়াত : ৮০)</p> <p>আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) উল্লিখিত আয়াতের অর্থ এভাবে করেছেন, ‘আমি যখন রোগে নিপতিত হই, তখন আল্লাহ ছাড়া আর কেউ আমার আরোগ্য দানের ক্ষমতা রাখেন না।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৬/১৪৭)</p> <p>রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূর করুন এবং আরোগ্য দান করুন, আপনিই আরোগ্য দানকারী, আপনার আরোগ্য ছাড়া অন্য কোনো আরোগ্য নেই। আপনি এমন আরোগ্য দিন, যাতে কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৪৩)</p> <p>অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ আমাকে আরোগ্য ও শিফা দান করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৬৬)</p> <p>ইমাম বাইহাকি (রহ.) বলেন, ‘দোয়ার সময় ইয়া শাফি, ইয়া কাফি বলা জায়েজ আছে। কেননা আল্লাহ মানুষের অন্তরকে সন্দেহ, সংশয়, হিংসা ও দ্বিধা থেকে এবং শরীরকে রোগব্যাধি থেকে আরোগ্য দেন, যা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে শাফি বলা উচিত নয়। শিফার অর্থ হলো মানুষের দেহকে কষ্ট ও ব্যথিত করে এমন সব কিছু থেকে মুক্তি লাভ করা।’ (আল-আসমা ওয়াস-সিফাত : ১/২১৯)</p> <p>আল্লামা ইবনে হুবাইরা বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহই মানুষের রোগব্যাধি দূর করেন। সুতরাং আল্লাহর ‘শাফি’ নাম স্মরণ করে আরোগ্য প্রার্থনা করা যাবে। যেমন—আপনি আমাকে আরোগ্য দিন, কেননা আপনি আরোগ্য দানকারী। আমি যদি আরোগ্য লাভ করি সেটা আপনার অনুগ্রহে, কিন্তু আপনি যদি আরোগ্য দান করেন তবে আপনার একান্তই ইচ্ছা।” (আল-ইফসা আলা মাআনিস সিহাহ : ৫/৩২১)</p> <p>আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া</p>