মহান আল্লাহর কাছে একমাত্র মনোনীত দ্বিন হলো ইসলাম। যা পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর কাছে একমাত্র দ্বিন। ’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯)
অতএব দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা ও কল্যাণ অর্জন করতে চাইলে অবশ্যই এই শান্তির ধর্ম আঁকড়ে ধরতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পৃথিবীতে নতুন নয়, বিভিন্ন নবীর সময়েও ধর্মবিদ্বেষী কিছু হতভাগা ছিল, যারা সত্যকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষকে তা থেকে বিরত রাখার জন্য নবীদের ওপর পর্যন্ত মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। এবং আল্লাহর কালামের স্বচ্ছতা নিয়ে পর্যন্ত প্রশ্ন তোলার দুঃসাহস করেছে। সব যুগেই সত্যের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যার দুর্গ গড়ে তোলার অপচেষ্টা করেছে। যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও প্রকৃত সত্যের দিশারি তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছে। পবিত্র কোরআনে তাদের এসব কুকীর্তির তথ্য মহান আল্লাহ নিজেই ফাঁস করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কাফিররা বলে, ‘এটি তো জঘন্য মিথ্যা, যা সে রটনা করেছে আর অন্য এক দল তাকে সাহায্য করেছে। ’ এভাবে তারা জুলুম ও মিথ্যা নিয়ে এসেছে। ’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৪)
তাই কখনো এ ধরনের লোকদের রোষানলে পড়লে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই, যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যারোপ করতে পারে, যারা আল্লাহর নবী-রাসুলদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে, তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন করতে পারে, তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয় তাদের কোনো অপরাধ ছাড়াই, তারা অপবাদের ও সুস্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। ’ (সুরা : আহযাব, আয়াত : ৫৮)
তাই ধর্মের শীতল স্পর্শ থেকে বঞ্চিত বেপরোয়া দুর্ভাগাদের মিথ্যাচারে বিচলিত না হয়ে নিজেদের ঈমান-আমলকে আরো সতেজ করার লক্ষ্যে ইখলাসের সহিত কাজ করা উচিত। মহান আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।