নামাজ অবস্থায় মোবাইল বন্ধ করা
প্রশ্ন : নামাজ চলাকালীন মোবাইলে কল এলে নামাজের মধ্যেই মোবাইল ফোন বন্ধ করা যাবে কি? যদি বন্ধ করায় কোনো অসুবিধা না হয়, তাহলে তার পদ্ধতি কী?
রহমত উল্লাহ, বাবুরহাট
উত্তর : মসজিদে নামাজ পড়ার আগেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে নেওয়া উচিত। যদি কেউ ভুলক্রমে তা না করে থাকে, তাহলে তিন-চার সেকেন্ড সময়ের ভেতর এক হাতে মোবাইল বন্ধ করা সম্ভব হলে নামাজে মোবাইল বন্ধ করার অনুমতি আছে। বেশি সময়ের প্রয়োজন হলে অনুমতি নেই। (রদ্দুল মুহতার : ১/৪২৫, আহসানুল ফাতাওয়া : ৩/৪১৮, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৩/৪৮৭)
খরগোশ খাওয়ার বিধান
প্রশ্ন : বিদেশে গেলে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খরগোশের গোশত পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
আবু তাহের, নারায়ণগঞ্জ
উত্তর : ইসলামের দৃষ্টিতে খরগোশ খাওয়া জায়েজ। (মুসলিম : ২/১৫২)
হোটেলে গোশত খাওয়ার বিধান
প্রশ্ন : কোনো হোটেলে যদি গরু/মুরগি/খাসির মাংস খাওয়া হয় এবং জানা না থাকে সেটা কী পদ্ধতিতে জবাই হয়েছে, অর্থাৎ জবাইয়ের সময় আল্লাহু আকবার বলা হয়েছে কি না? এ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে অবগত না থাকলে কি ওই পশুপাখির মাংস খাওয়া জায়েজ হবে?
সাদিদ, বিক্রমপুর
উত্তর : আমাদের দেশে প্রচলিত হোটেলগুলোতে সাধারণত মালিক ও কর্মচারী উভয়েই মুসলিম হয়ে থাকে। তাই জবাইয়ের ক্ষেত্রে তাদের সম্পর্কে বিসমিল্লাহ না বলার ধারণা পোষণ করা অর্থহীন। ইসলামের দৃষ্টিতে সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে হারাম বা নাজায়েজ বলার অবকাশ নেই। সুতরাং সচরাচর মুসলিম হোটেলগুলো থেকে গরু, খাসি বা মুরগির গোশত কিনে খেতে কোনো সমস্যা নেই। তবে কোনো হোটেলের ব্যাপারে যদি নিশ্চিতভাবে জানা থাকে যে সেখানে স্বেচ্ছায় বিসমিল্লাহ ব্যতীত জন্তু জবাই করা হয় বা অমুসলিম কর্তৃক জবাই করা হয়, তাহলে সেখানকার গোশত খাওয়া কোনোক্রমেই বৈধ হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ৬/২৯৯, ফাতাওয়ায়ে তাতার খানিয়া : ১৭/৪০১, আহসানুল ফাতাওয়া : ৮/১০৬)
জীবিত প্রাণীর গোশত কেটে নেওয়া
প্রশ্ন: শুনেছি কিছু দেশে জীবিত পশুর নিতম্ব থেকে গোশত কেটে নেয়। বিশেষ করে দুম্বার নিতম্ব থেকে। পরবর্তী সময়ে সে জায়গা আবার প্রাকৃতিকভাবে গোশত দ্বারা ভরাট হয়ে যায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এ ধরনের কাজের বিধান কী?
সালমান, ভোলা
উত্তর : জবাই করা ছাড়া জীবিত দুম্বার নিতম্ব থেকে গোশত কেটে খাওয়া হারাম। (তিরমিজি, হাদিস : ১৪৮০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩২১৭, আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৪৭৩)