কানাকানি ও কানাঘুষা সামাজিক শিষ্টাচারপরিপন্থী কাজ। কোথাও তিনজন লোক থাকলে একজনকে বাদ দিয়ে দুজনে কানাকানি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কেননা এতে তৃতীয় ব্যক্তি মনে কষ্ট পায়। ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হয়।
বিজ্ঞাপন
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে মুমিনরা, তোমরা যখন গোপন পরামর্শ করো, তখন পাপাচার সীমা লঙ্ঘন ও রাসুলের অবাধ্যতার বিষয়ে শলাপরামর্শ করো না; বরং তোমরা কল্যাণকর কাজে ও আল্লাহভীরুতার কাজে পরামর্শ করো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যার কাছেই তোমরা সমবেত হবে। ওই কানাঘুষা শয়তানের কাজ ছাড়া আর কিছু নয়, যা মুমিনদের দুঃখ দেওয়ার জন্য করা হয়। অথচ তা তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারে না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। অতএব মুমিনদের উচিত আল্লাহর ওপর ভরসা করা। ’ (সুরা মুজাদালাহ, আয়াত : ১০)
ইসলামের দৃষ্টিতে এমনভাবে কথা বলাও নিষিদ্ধ, যেভাবে কথা বললে কারো মনে সন্দেহ কিংবা দুঃখবোধ তৈরি হয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমরা তিনজন থাকবে, তখন দুজনে পৃথকভাবে গোপন পরামর্শ কোরো না। যতক্ষণ না তোমরা অন্যদের সঙ্গে মিশে যাও। কেননা এটি তৃতীয়জনকে দুঃখিত করবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬২৯০; মুসলিম, হাদিস : ২১৮৪)
তবে তৃতীয় ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে কথা বলা যাবে। যেমন অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যখন তোমরা তিনজন থাকবে, তখন তৃতীয়জনকে ছেড়ে তোমরা গোপনে পরামর্শ করো না তার ছাড়া। কেননা সেটি তাকে দুঃখিত করবে। ’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৬৩৩৮)