ঘরের উদ্দেশ্যে টাকা জমালে হজ ফরজ হয়?
প্রশ্ন : আমার চাচা চাকরির সুবাদে সারা জীবন বিভিন্ন জেলায় জেলায় ছিলেন। বাড়িতে তার কোনো ঘর নেই। ঘর বানানোর উদ্দেশ্যে ব্যাংকে কিছু টাকা জমা করছেন। হজের মৌসুমে ওই টাকার পরিমাণ হজের খরচের সমপরিমাণ হলে তার ওপর হজ ফরজ হবে কি?
রিদওয়ান হাবিব, উত্তরা
উত্তর : হ্যাঁ, হজের মৌসুম চলে এলে ওই টাকার কারণে হজ ফরজ হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
চেয়ারে বসে ইমামতি করা যায়?
প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে চেয়ারে বসে ইশারায় রুকু-সিজদা করে নামাজ পড়েন। কোনো কারণে আমরা তার সঙ্গে জামাত করে নামাজ পড়ি, তাহলে কি তাকে ইমাম বানিয়ে আমরা তার পেছনে ইক্তিদা করে নামাজ পড়তে পারব?
মনোয়ার হোসেন, বগুড়া
উত্তর : এমন মাজুর (অক্ষম) ইমাম, যে চেয়ারে বসে ইশারা করে নামাজ পড়ে, তার পেছনে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায়ে সক্ষম সুস্থ মুসল্লিদের ইক্তিদা সহিহ নয়। ( রদ্দুল মুহতার ১/৫৭৯)
ওজন মেপে উপার্জন করা
প্রশ্ন: আমি কিছু গরিব মানুষকে সাবলম্বী করতে চাই। যেহেতু আমার সম্পদ খুব বেশি নেই, তাই আমি প্রাথমিকভাবে চিন্তা করেছি, কিছু প্রতিবন্ধী মানুষকে ওজন মাপার মেশিন কিনে দেব। সে তা দিয়ে মানুষের ওজন মেপে উপার্জন করে সংসার চালাতে পারবে। কিন্তু আমার এক বন্ধু বলল, ওজন মেপে উপার্জন করা কি হালাল হবে? বিষয়টি আমাকেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তাই আপনাদের দারস্থ হলাম। ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের ওজন ও উচ্চতা নির্ণয় করে টাকা নেওয়ার বিধান কী?
তাকিব উদ্দিন চৌধুরী রাকিব, চৌরাস্তা, নোয়াখালী
উত্তর : মানুষের ওজন ও উচ্চতা নির্ণয় করে টাকা গ্রহণ করা জায়েজ। (হিন্দিয়া : ৪/৫১৩)
জামানতের টাকা মসজিদে দেওয়া
প্রশ্ন : আমাদের এলাকায় বিচারক মুরব্বিদের একটা আইন আছে যে বিচার যা হওয়ার পরে হবে, প্রথমে উভয় পক্ষকে (অর্থাৎ বাদী-বিবাদী) পাঁচ হাজার করে টাকা জমা দিতে হবে। তবে এটা নেওয়া হয় ভীতি প্রদর্শনের জন্য—কেন তারা এরূপ মারামারি বা গণ্ডগোল করল! এখন আমার প্রশ্ন হলো, ওই টাকা নিয়ে তাদের খাওয়া জায়েজ হবে কি? অথবা মসজিদ-মাদরাসার কোনো কাজ তথা বাথরুম ইত্যাদি বানানো বৈধ হবে কি না?
মাহতাব হোসাইন, দিনাজপুর
উত্তর : ভয় দেখানোর জন্য যে টাকা বিচারকরা নিয়ে থাকে ওই টাকা বিচারকরাও খেতে পারবে না। কোনো ফকির-মিসকিনকেও দিতে পারবে না এবং কোনো মসজিদ-মাদরাসাতেও দেওয়া যাবে না। বরং যাদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছে তাদেরই ফেরত দিয়ে দিতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম : ১২/২৫৩, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ১৪/১৩৫)