<p>ড. আলী আবদুল্লাহ সাহাল মুসলিম সমাজে চিকিৎসকদের মর্যাদা সম্পর্কে বলেন, ‘পেশা হিসেবে চিকিৎসা শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার। কেননা তার আলোচ্য বিষয় মানুষের জীবন, তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানবপ্রকৃতিকে শক্তিশালী করা ও রোগমুক্তি, যা পৃথিবীতে মানব প্রেরণের উদ্দেশ্য (আল্লাহর দাসত্ব) পূরণে আবশ্যক। তা ছাড়া এই পেশার মাধ্যমে শরিয়তের অন্যতম ‘মাকসাদ’ পূরণ হয়। সুতরাং তা কোরআনে বর্ণিত ‘ভালো কাজে পারস্পরিক সহযোগিতার অন্তর্ভুক্ত।’ (প্রবন্ধ : আখলাকুত তাবিবিল মুসলিম, পৃষ্ঠা : ৪-৫)</p> <p>ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে ‘চিকিৎসাবিদ্যা’ অর্জন করা ‘ফরজে কিফায়া’ (সামগ্রিক অবশ্যকরণীয়)। অর্থাৎ উম্মাহর একটি দলকে অবশ্যই সব সময় এই বিদ্যাচর্চায় থাকতে হবে। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘বুদ্ধিবৃত্তিক (ওহিনির্ভর নয় এমন) জ্ঞানগুলোর মধ্যে চিকিৎসা ও হিসাববিজ্ঞান ফরজে কিফায়া। কেননা, মানুষ তার মুখাপেক্ষী।’ (রাওদাতুত-তালিবিন ওয়া উমদাতুল মুফতিন : ১০/২২৩)</p> <p>ইমাম শাফেয়ি (রহ.) বলতেন, ‘আমি হালাল-হারামসংক্রান্ত জ্ঞানের (ইসলামী আইনবিজ্ঞান) পর চিকিৎসার চেয়ে অভিজাত কোনো বিদ্যা সম্পর্কে জানি না।’ (সিয়ারু আলামিন-নুবালা : ১০/৫৭)</p> <p> </p> <p><strong>চিকিৎসকদের মর্যাদাপূর্ণ পাঁচ বৈশিষ্ট্য</strong></p> <p>আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে জাকারিয়া আর রাজি চিকিৎসকদের মর্যাদা ও সম্মান বিষয়ে বলেন, চিকিৎসকরা এমন পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা আর কেউ অর্জন করতে পারেনি। তা হলো—</p> <p>১.   পৃথিবীর সব জাতি ও সভ্যতা তাঁদের সম্মান ও মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে।</p> <p>২.   রাষ্ট্র ও ক্ষমতাগুলো তাঁদের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়েছে। যখন পরিবার-পরিজন ও সম্পদ কাজে আসে না, তখন তাঁরা ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।</p> <p>৩.   মানুষের কল্যাণচেষ্টা থেকে তাঁরা কখনো মুখ ফিরিয়ে নেননি।</p> <p>৪.   সব সময় মানুষের সুখ ও শান্তিকে অগ্রাধিকার দেন।</p> <p>৫.   তাঁদের নামটি (তাবিব) আল্লাহর গুণবাচক নাম থেকে নেওয়া। (আখলাকুত তাবিব, পৃষ্ঠা : ৮৭)</p> <p> </p> <p><strong>বৃষ্টির জন্য দোয়া</strong></p> <p>উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন, আর রহমানির রহীম, মা-লিকি ইয়াওমিদ্দীন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ইয়াফ‘আলু মা-ইউরীদ, আল্লা-হুম্মা আনতাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-আনতাল গনিয়্যু ওয়া নাহনুল ফুকারা-উ, আনযিল আলাইনাল গয়সা ওয়াজ‘আল মা-আনযালতা লানা-ক্যুওয়াতান ওয়া বালাগান ইলা-হীন।</p> <p>অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা, মেহেরবান ও ক্ষমাকারী। প্রতিদান দিবসের মালিক। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই। তিনি যা চান তা-ই করেন। হে আল্লাহ, তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নেই। তুমি অমুখাপেক্ষী। আর আমরা কাঙাল—তোমার মুখাপেক্ষী। আমাদের ওপর তুমি বৃষ্টি বর্ষণ করো। আর যে জিনিস (বৃষ্টি) তুমি অবতীর্ণ করবে তা আমাদের শক্তির উপায় ও দীর্ঘকালের পাথেয় করো।</p> <p>উপকার : আয়েশা (রা.) বলেন, লোকজন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনাবৃষ্টির কষ্টের কথা নিবেদন করলে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদগাহে সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে এই দোয়া করেন। অতঃপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি বর্ষণ হতে শুরু করে। বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষের ছোটাছুটি দেখে নবীজি হেসে ফেলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১১৭৩)</p>