<p>সৌদি আরবের কাসিম প্রদেশের উয়ুনুল জাওয়া জেলায় অবস্থিত কিং ফাহাদ জামে মসজিদ নির্মাণশৈলী ও নান্দনিকতায় অনন্য এক স্থাপনা। বহিরাংশের চোখ-ধাঁধানো সৌন্দর্য এবং আশপাশের অসাধারণ পরিবেশ মসজিদটিকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে। তবে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো মসজিদের অভ্যন্তরাংশের নকশা মসজিদ-ই-নববীর মতো। মসজিদুল হারাম ও মসজিদ-ই-নববীর পর এটিই দেশটির বৃহত্তম ইবাদতের জায়গা। একই সঙ্গে এখানে রয়েছে কিং ফাহাদ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কমপ্লেক্স।</p> <p>মসজিদ কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক আবদুর রহমান বিন সালিহ জানান, ১৯৯৫ সালের মার্চে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের আর্থিক সহযোগিতায় ডক্টর আব্দুল আজিজ আল আসাফের ওয়াকফকৃত ৫০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়। জুলাই ১৯৯৮ তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তিনটি মহাসড়ক এবং একটি আঞ্চলিক সড়কের কেন্দ্রে সুন্দর ও মনোরম জায়গায় এর অবস্থান। শুধু মসজিদটিই ২২ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিস্তৃত। মসজিদের আছে আটটি গম্বুজ, যেগুলো ২৪-২৬ মিটার উঁচু। সুদৃশ্য মিনার দুটির উচ্চতা ৮০ মিটার। কমপ্লেক্সের ৩৫ শতাংশ জায়গায় মসজিদ অবস্থিত। একটি আধুনিক মসজিদে যা যা থাকা দরকার তার প্রায় সব সুবিধাই এখানে আছে; এক হাজারের বেশি গাড়ি পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট স্থান, পরিচ্ছন্ন অজুখানা, আধুনিক পাঠাগার, অসুস্থদের স্বতন্ত্র নামাজের জায়গা, সেমিনারকক্ষ, ১১টি এতেকাফকক্ষ। এমনকি কমপ্লেক্সের ভেতর সুইমিং পুলও আছে। এখানে একসঙ্গে অন্তত ছয় হাজার সাত শ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।</p> <p>এখানে আরো আছে শিশুদের প্রভাতি ও বৈকালিক কোরআন শিক্ষার মক্তব। চার থেকে ছয় বছরের শিশুরা কোরআন শিক্ষাগ্রহণ করে। এর পরের ধাপে কোরআনে কারিম হিফজ ও মুখস্থ করার জন্য মসজিদের কোরআন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয় এসব শিশু। এই ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে উয়ুনুল জাওয়াতে অন্তত আরো ১১টি হিফজখানা রয়েছে, এসব হিফজখানা থেকে প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কোমলমতি শিশু-কিশোর পবিত্র কোরআনে কারিম মুখস্থ করে হাফেজ হয়।</p> <p>সূত্র : আল আওরাক ও মক্কা নিউজ</p>