দাইয়ুস কাকে বলে?
প্রশ্ন : দাইয়ুস মানে কী? নারীরাও কি দাইয়ুস হতে পারে?
—শাহরিয়ার হোসেন শিহাব, পাগলা, নারায়ণগঞ্জ।
উত্তর : দাইয়ুস বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যে ক্ষমতা যা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও নিজ পরিবার বা নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের ব্যভিচার, অশ্লীলতা, পর্দাহীনতা ও শরীয়তের নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে বাধা দেয় না। এর মধ্যে পুরুষের ন্যায় আত্মসম্মানবোধহীন নারীরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৫৩৭২, মিরকাতুল মাফাহিত : ৬/২৩৯০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/৩২৭)
কথায় কথায় কসম করা
প্রশ্ন : অনেকে আছে কথায় কথায় কসম করে। এভাবে কথায় কথায় কসম করা কি ঠিক?
—মিনহাজ, গাজীপুর।
উত্তর : অযথা ও অপ্রয়োজনে কথায় কথায় কসম করা ভালো নয়। এতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামের অসম্মান হয়ে থাকে। তাই যথাসম্ভব সত্য কথার মধ্যেও কসম না করা উচিত। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৪, আল মওসুআতুল ফিকহিয়াহ আল কুয়েতিয়া : ৭/২৯০)
ভুলক্রমে মোবাইলে টাকা এলে করণীয়
প্রশ্ন : ভুলক্রমে মোবাইলে টাকা চলে এলে এবং প্রেরকের সন্ধান না পেলে কী করণীয়? যদি সন্ধান পায় তাহলে টাকা ফেরত দেওয়া জরুরি হবে কি না?
—সুরাইয়া শায়লা, আজিমপুর, ঢাকা।
উত্তর : ভুলক্রমে কারো মোবাইলে টাকা চলে এলে মালিকের সন্ধান নিয়ে তার কাছে পৌঁছানো আবশ্যক। মালিকের সন্ধান পাওয়া না গেলে তার পক্ষ থেকে সদকা করে দেবে। (বাদায়িউস সানায়ে : ৬/২০১, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৬/৪৮৯৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/১৪৭)
কেমন মেয়ে বিয়ে করা উত্তম
প্রশ্ন : বিয়ে করার ক্ষেত্রে মেয়েদের কী কী গুণকে প্রাধান্য দিতে হয়?
—ইমরুল শাহেদ, বসুন্ধরা, ঢাকা।
উত্তর : বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রীর মধ্যে যেসব গুণাবলি লক্ষণীয় তা হলো, দ্বিনদার (ধার্মিক), সচ্চরিত্র, স্বামীর অনুগত, বংশমর্যাদাসম্পন্ন, স্নেহপরায়ণ, কুমারী, অধিক প্রসবকারিণী, সংসারী ও সুন্দরী হওয়া এবং বেশি অভিমানী ও বিলাসিনী না হওয়া ইত্যাদি। (বুখারি, হাদিস : ৫০৯০, ৫৩৬৭, ফাতহুল বারি : ৯/৩৮, আদ্দুররুল মুখতার : ৩/৮, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৬/২৩)
বিয়ের উদ্দেশ্য কী?
প্রশ্ন : আমাদের এক বড় ভাই আছেন, তিনি বিয়ে করতে আগ্রহী নন। তাঁকে কেউ বিয়ের কথা বললে তিনি বলেন, বিয়ের উদ্দেশ্য কী, তা আমাকে বোঝাও। ইসলামে তো বিয়ে ছাড়া আরো অনেক ইবাদত আছে। প্রশ্ন হলো, ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ের উদ্দেশ্য কী?
—সাদিদ কায়সার, নোয়াখালী।
উত্তর : বিয়ের বহুমুখী উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন, বিভিন্ন গুনাহ ও পাপাচার থেকে নিজেকে সংবরণ করার মাধ্যমে দ্বিন ও ঈমানের হেফাজত করা, নারীজাতির তত্ত্বাবধান ও রক্ষণাবেক্ষণ করা, বৈধ পন্থায় মানববংশের বিস্তার ঘটানো, নবীজি (সা.)-এর একটি মহৎ সুন্নতকে বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, বিয়ে আমার সুন্নত, যে তা পালন করবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম, হাদিস ১৪০০, ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৮৪৬, ফাতহুল কদির : ৩/১৮৭, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৬/২২)
সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা
মন্তব্য