<p>কোরআনের পরতে পরতে তাকওয়া অর্জনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তাকওয়ার সবচেয়ে ভালো সংজ্ঞা দিয়েছেন বিশিষ্ট সাহাবি উবাই ইবনে কাব (রা.)। একবার উমর (রা.) উবাই ইবনে কাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, তাকওয়া কী? উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, আপনি কি কখনো কাঁটা বিছানো পথে হেঁটেছেন? উমর (রা.) বলেন, হ্যাঁ। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, (কাঁটা বিছানো পথে) আপনি কিভাবে হেঁটেছেন? উমর (রা.) বলেন, খুব সাবধানে, কষ্ট সহ্য করে হেঁটেছি, যাতে আমার শরীরে কাঁটা বিঁধে না যায়। উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, এটাই হচ্ছে তাকওয়া। (তাফসিরে কুরতুবি, ইবনে কাসির) কাঁটাযুক্ত পথে কাঁটা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ যেভাবে সতর্ক হয়ে চলে, ঠিক সেভাবে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহ যা নিষিদ্ধ করেছেন সেগুলো থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ার জন্য আল্লাহ যা ভালোবাসেন, সেই অনুযায়ী আমল করার নাম তাকওয়া।  </p> <p>মূলত তাকওয়া অন্তরের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সহজ বাংলায় বলা হয় আল্লাহভীতি।</p> <p>তাকওয়া হচ্ছে সব ভালো কাজের উৎস, পুণ্য কাজের জন্য পথের দিশারি। তাকওয়া হচ্ছে ভালো কাজের মাধ্যমে আল্লাহর আজাব থেকে বেঁচে থাকা। আগের ও পরের সব উম্মতকে তাকওয়া অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই আমি নির্দেশ দিয়েছিলাম তোমাদের আগে যাদের কিতাব দেওয়া হয়েছিল তাদের এবং তোমাদেরও; যেন তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩১)</p> <p><strong>তাকওয়ার তিনটি স্তর </strong></p> <p>(১)  অন্তর ও সব অঙ্গ গুনাহ ও হারাম কাজ থেকে বাঁচিয়ে রাখা।</p> <p>(২)  মাকরুহ বা ঘৃণিত কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।</p> <p>(৩)  অনর্থক ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।</p> <p><strong>তাকওয়ার উপকারিতা </strong></p> <p>(১)  আল্লাহর সাহায্য ও নৈকট্য পাওয়া যায়।</p> <p>(২)  শেষ পরিণাম ভালো হয়।</p> <p>(৩)  উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়।</p> <p>(৪)  সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।</p> <p>(৫)  দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জিত হয়।</p> <p>(৬)  উপকারী ইলম অর্জনে সহায়ক হয়।</p> <p>(৭)  সত্য ও বিশুদ্ধ বিষয় পেতে সহায়ক হয়।</p> <p>(৮)  অফুরন্ত রিজিক পাওয়া যায়।</p> <p>(৯)  জান্নাত পাওয়া যায়।</p> <p>(১০) জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।</p> <p> </p> <p>মহান আল্লাহ আমাদের তাকওয়াবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।</p> <p> </p>