<p>ফেরেশতারা আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি। তাঁরা আল্লাহর রাজদরবারের সৌন্দর্য। আল্লাহর রাজসিংহাসন বহন করেন সম্মানিত ফেরেশতারা। ফেরেশতাদের সংখ্যা কত, তা মহান আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। আসমানের এমন কোনো স্থান নেই, যেখানে দাঁড়ানো বা সিজদারত কোনো ফেরেশতা নেই। এটা তাঁদের বিপুলতার প্রমাণ, যার সংখ্যা শুধু আল্লাহই জানেন। সপ্তম আকাশে বাইতুল মামুরে প্রতিদিন ৭০ হাজার ফেরেশতা প্রবেশ করেন। তাঁরা কখনো দ্বিতীয়বার আসেন না। কিয়ামতের দিন জাহান্নামকে আনা হবে ৭০ হাজার লাগাম দিয়ে। প্রত্যেক লাগামের সঙ্গে থাকবেন ৭০ হাজার ফেরেশতা, যাঁরা তা টানতে থাকবেন। (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২৮৪২)</p> <p>সুবিশাল এই মহাবিশ্বে সম্মানিত এ ফেরেশতাদের আল্লাহ বহুমুখী কাজ ও বিবিধ দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন।</p> <p>তবে এই ফেরেশতারাও একদিন মৃত্যুবরণ করবেন। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো উপাস্যকে আহ্বান কোরো না। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। প্রত্যেক বস্তু ধ্বংস হবে, তবে তাঁর (আল্লাহর) চেহারা (সত্তা) ছাড়া। বিধান শুধু তাঁরই এবং তাঁর কাছেই তোমরা ফিরে যাবে।’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৮৮)</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘...এবং শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। ফলে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়বে, যাদের আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তারা ছাড়া। অতঃপর দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে, তখন সবাই দণ্ডায়মান হয়ে তাকাতে থাকবে।’ (সুরা জুমার, আয়াত : ৬৮)</p> <p>এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, আসমান ও জমিনবাসী সবাই মৃত্যুবরণ করবে। অতঃপর সবশেষে মালাকুল মউত মারা যাবেন এবং শুধু আল্লাহ অবশিষ্ট থাকবেন, যিনি চিরঞ্জীব, সদাবিরাজমান। (তাফসিরে ইবনে কাসির)</p> <p>শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া (রহ.) বলেন, সব সৃষ্টি মৃত্যুবরণ করবে, এমনকি ফেরেশতারাও। অবশেষে মালাকুল মউতও মৃত্যুবরণ করবেন। (মাজমু ফাতাওয়া : ৪/২৫৯, ১৬/৩৪)</p>
