<p>আলজিয়ার্স গ্র্যান্ড মসজিদ আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অবস্থিত একটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক স্থাপনা। স্থাপত্যসৌকর্যের সর্বোচ্চ মান রক্ষা করে তা নির্মাণ করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে গোটা আফ্রিকা মহাদেশের আধুনিক ও শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় স্থাপনার খ্যাতি ও মর্যাদা লাভ করেছে। আলজেরিয়ার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১১ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং তা শেষ হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালে মসজিদটি মুসল্লিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।</p> <p>এক গম্বুজ বিশিষ্ট আলজিয়ার্স গ্র্যান্ড মসজিদের মিনারটি ২৬৫ মিটার লম্বা। উচ্চতার দিক দিয়ে এটিই বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। গম্বুজের উচ্চতা ৭০ মিটার। চার লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার ফুটের মসজিদটি ২৫ হেক্টর জমির ওপর অবস্থিত। আয়তনে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের আল হারামাইন শারিফাইন তথা মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী।</p> <p>আঙিনা ও অভ্যন্তর মিলিয়ে একসঙ্গে মসজিদটিতে এক লাখ ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ কমপ্লেক্সের আওতায় আরো ১২টি ছোট-বড় স্থাপনা রয়েছে। মুসল্লিদের জন্য কোরআন শিক্ষাকেন্দ্র, ধর্মীয় পাঠাগার, ইসলামী সংস্কৃতি জাদুঘর এবং সাত হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের পৃথক জায়গাসহ আরো প্রয়োজনীয় অনেক কিছু। মসজিদটি নির্মাণে সর্বমোট খরচ হয়েছে এক বিলিয়ন ইউরো।</p> <p>মসজিদটি শুধু তার আকাশচুম্বী মিনারেই  মানুষের মন কাড়ে না; এর চোখ-ধাঁধানো নির্মাণশৈলী ও আলজেরিয়া উপসাগরের কোল ছুঁয়ে দাঁড়ানোর নৈসর্গিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে। আলজেরিয়ায় আসা অসংখ্য দর্শনার্থী একনজর আলজিয়ার্স গ্র্যান্ড মসজিদ দেখতে প্রতিদিন গাড়ি, ট্রাম ও নৌকাযোগে এখানে ভিড় করে। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে মসজিদে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম লক্ষ করা যায়।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা ও উইকিপিডিয়া</p> <p> </p>